সালাত- নামাজের প্রয়োজনীয় দোয়া
আযানের পর পড়ার দোয়া
জাবির ইব্নু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:
যে ব্যক্তি আযান শুনে (নিম্নোক্ত) দু’আ পাঠ করে, কিয়ামতের দিন সে আমার শাফা’আত লাভের অধিকারী হবে। (দু'আটি হলো:)
اَللّٰهُمَّ رَبَّ هٰذِهِ الدَّعْوَةِ التَّامَّةِ وَالصَّلاَةِ الْقَائِمَةِ آتِ مُحَمَّدًا الْوَسِيْلَةَ وَالْفَضِيْلَةَ وَابْعَثْهُ مَقَامًا مَّحْمُوْدًا الَّذِيْ وَعَدْتَهُ
অনুবাদঃ হে আল্লাহ! এ পরিপূর্ণ আহ্বান ও প্রতিষ্ঠিত সালাতের , মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে ওয়াসীলা ও সর্বোচ্চ মর্যাদার অধিকারী করুন এবং তাঁকে সে মাকামে মাহমুদে পোঁছে দিন যার অঙ্গীকার আপনি করেছেন
(বুখারী ৬১৪)
ওযুর নিয়ত
নিয়ত অর্থ ইচ্ছা করা, সংকল্প করা। মনে মনে আমরা পবিত্র হওয়ার উদ্দেশ্যে যখন অযুখানায় প্রবেশ করি তখনই অযুর নিয়ত হয়ে যায়। কুরআন-হাদীসের কোথাও অযুর শুরুতে পড়তে হবে এমন নিয়তের বাক্য বর্ণনা করা হয়নি। বিভিন্ন বইতে যে সকল নিয়তের বাক্য দেয়া থাকে সেগুলো আরবিভাষী কোনো ব্যক্তির বানানো; হাদিস থেকে সংগৃহীত নয়। তাই অযুর শুরুতে সেই আরবি বাক্যগুলো মুখে উচ্চারণ করাকে জরুরি বা বেশি সওয়াবের কাজ কিংবা দ্বীনের অপরিহার্য অংশ মনে করা বিদআত।
ওযুর শুরুতে দোয়া
بِسْمِ اللّٰهِ
আল্লাহ্র নামে (শুরু করছি)।
মসজিদে প্রবেশের সময় সুন্নাহসমূহ
১. বিসমিল্লাহ ও দরুদ শরীফ পড়া। দুটি একত্রে এভাবে পড়া যায় :
بِسْمِ اللّٰهِ وَالصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ عَلَى رَسُوْلِ اللّٰهِ
অর্থ: আমি আল্লাহ্র নামে (প্রবেশ করছি) এবং সালাত ও সালাম আল্লাহ্র রাসূলের উপর। [১] (এক হাদীসে মসজিদে প্রবেশের সময় শয়তান থেকে আশ্রয় চাওয়ার কথাও আছে। হাদীসে বর্ণিত দোয়াটি এমন-
أَعُوْذُ بِاللّٰهِ العَظِيْمِ، وَبِوَجْهِهِ الْكَرِيْمِ، وَسُلْطَانِهِ الْقَدِيْمِ، مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ
অর্থ: আমি মহান আল্লাহ্র কাছে তাঁর সম্মানিত চেহারা ও প্রাচীন ক্ষমতার ওসীলায় বিতাড়িত শয়তান থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।
এই দোয়াটি পড়তে চাইলে এটি পড়ে বিসমিল্লাহ ও পরে দুরুদ শরীফ পড়ুন।
২. মসজিদে প্রবেশের দুআ পড়া।
اللّٰهُمَّ افْتَحْ لِيْ أَبْوَابَ رَحْمَتِكَ
হে আল্লাহ! আপনি আমার জন্য আপনার রহমতের দরজাসমূহ খুলে দিন।
৩. ডান পা দিয়ে মসজিদে প্রবেশ করা।
রেফারেন্স:
[১] ইবনুসসুন্নী, নং ৮, আবূ দাউদ, নং ৪৬৫।
[২] আবূ দাউদ, নং ৪৬৬।
[৩] মুসলিম ১/৪৯৪, নং ৭১৩; আর সুনানু ইবন মাজায় ফাতিমা রাদিয়াল্লাহু আনহার হাদীসে এসেছে,
اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لِيْ ذُنُوْبِيْ وافْتَحْ لِيْ أبْوَابَ رَحْمَتِكَ
“হে আল্লাহ, আমার গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দিন এবং আমার জন্য আপনার রহমতের দুয়ারগুলো খুলে দিন”।
দেখুন, ইবন মাজাহ, নং ৭৭১।
[৪] হাকিম ১/২১৮; বাইহাকী, ২/৪৪২।
মসজিদ থেকে বের হওয়ার দোয়া
বাম পা দিয়ে মসজিদ থেকে বের হবে [১] এবং বলবে,
بِسْمِ اللّٰهِ وَالصّلَاةُ وَالسَّلَامُ عَلَى رَسُوْلِ اللّٰهِ، اللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَسْأَلُكَ مِنْ فَضْلِك، اللّٰهُمَّ اعْصِمْنِيْ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ،
আমি আল্লাহ্র নামে (বের হচ্ছি)। আল্লাহ্র রাসুলের উপর সালাত ও সালাম বর্ষিত হোক। হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আপনার দয়া প্রার্থনা করি। হে আল্লাহ, আমাকে বিতাড়িত শয়তান থেকে হেফাযত করুন। [২]
[১] আল-হাকিম, ১/২১৮; বাইহাকী, ২/৪৪২।
[২] মসজিদে প্রবেশের দো‘আয় পূর্বে বর্ণিত হাদীসের রেওয়ায়েতসমূহের তাখরীজ দেখুন, আর “হে আল্লাহ, আমাকে বিতাড়িত শয়তান থেকে হেফাযত করুন” এ বাড়তি অংশের তাখরীজ দেখুন, ইবন মাজাহ্ ১/১২৯।
সানা পড়ার ফজিলত
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন নামায শুরু করতেন তখন বলতেন,
سُبْحَانَكَ اللّٰهُمَّ وَبِحَمْدِكَ وَتَبَارَكَ اسْمُكَ وَتَعَالٰى جَدُّكَ وَلَا إِلٰهَ غَيْرُكَ
অর্থ: হে আল্লাহ! আপনার প্রশংসাসহ আপনার পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছি, আপনার নাম বড়ই বরকতময়, আপনার প্রতিপত্তি অতি উচ্চ। আর আপনি ব্যতীত ইবাদতের উপযুক্ত অন্য কোন মাবুদ নেই।
সূত্র: মুসলিম-৩৯৯, আবু দাঊদ-৭৭৫, তিরমিযী-২৪৩, ইবনু মাজাহ-৮০৬, নাসায়ী-৮৯।
রুকুতে পড়ার দোয়া
سُبْحَانَ رَبِّيَ الْعَظِيْمِ
বাংলাঃ সুবহানা রাব্বিয়াল আজিম
আমি আমার মহান প্রতিপালকের পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছি।
সূত্রঃ আবূ দাউদ, নং ৮৭০; তিরমিযী, নং ২৬২; নাসাঈ, নং ১০০৭; ইবনে মাজাহ, নং ৮৯৭; আহমাদ, নং ৩৫১৪।
রুকু থেকে উঠার দোয়া
سَمِعَ اللّٰهُ لِمَنْ حَمِدَهُ
বাংলাঃ সামি আল্লাহ হুলিমান হামিদা
যে আল্লাহর হামদ-প্রশংসা করে, আল্লাহ তার প্রশংসা শোনেন (কবুল করুন)
সূত্রঃ বুখারী, নং ৭৯৬।
সিজদাতে পড়ার দোয়া
سُبْحَانَ رَبِّيَ الأَعْلٰى
বাংলাঃ সুবহানা রাব্বিয়াল আলা
আমার প্রতিপালকের পবিত্রতা ও মহিমা বর্ণনা করছি, যিনি সবার উপরে
সূত্র : আবূ দাউদ, হাদীস নং ৮৭০; তিরমিযী, হাদীস নং ২৬২; নাসাঈ, হাদীস নং ১০০৭; ইবন মাজাহ, হাদীস নং ৮৯৭; আহমাদ, হাদীস নং ৩৫১৪।
দুই সিজদার মাঝখানে পড়ার দোয়া
اللّٰهُمَّ اغْفِرْ لِي، وَارْحَمْنِي، وَاهْدِنِي
বাংলাঃ আল্লাহুম্মা মাগফিরলি ওয়ার হামনি ওয়াদিনি আফিনি ওয়ার জুকনি।
হে আল্লাহ! আপনি আমাকে ক্ষমা করুন, আমার প্রতি দয়া করুন, আমাকে সঠিক পথে পরিচালিত করুন, আমার সমস্ত ক্ষয়ক্ষতি পূরণ করে দিন, আমাকে নিরাপত্তা দান করুন, আমাকে রিযিক দান করুন এবং আমার মর্যাদা বৃদ্ধি করুন।
সূত্রঃ আবূ দাউদ, ১/২৩১, নং ৮৫০; তিরমিযী, নং ২৮৪, ২৮৫; ইবন মাজাহ, নং ৮৯৮।
তাশাহুদ বা আত্তাহিয়্যাতু পড়ার ফজিলত
اَلتَّحِيَّاتُ لِلّٰهِ، وَالصَّلَوَاتُ، وَالطَّيِّبَاتُ، اَلسَّلاَمُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللّٰهِ وَبَرَكَاتُهُ، اَلسَّلاَمُ عَلَيْنَا وَعَلٰى عِبَادِ اللّٰهِ الصَّالِحِيْنَ، أَشْهَدُ أَنْ لَّا إِلٰهَ إِلَّا اللّٰهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهٗ وَرَسُوْلُهٗ
বাংলাঃ আত্তাহিয়্যাতু লিল্লাহি ওয়াস সালাওয়াতু আত্তাহিয়াতু আসসালামু আলাইনা আইয়ুহান্নাবী ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওবারাকাতু।
আসসালামু আলাইনা ওয়ালা ইবাদুল্লাহিস সলিহীন
আসাদুল্লাহ ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহু।
অর্থ জাতীয় অভিবাদন আল্লাহর জন্য, অনুরূপভাবে সকল সালাত ও পবিত্র কাজও। হে নবী! আপনার উপর বর্ষিত হোক আল্লাহর পক্ষ থেকে শান্তি, রহমত ও বরকতসমূহ। আমাদের উপর এবং আল্লাহর সৎ বান্দাদের উপরও বর্ষিত হোক শান্তি। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া ইবাদতের উপযুক্ত কোনো মাবুদ নেই এবং আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আল্লাহর বান্দা ও রাসূল।
সূত্রঃ বুখারী, নং ৮৩১; মুসলিম ১/৩০১, নং ৪০২।
দরূদ শরীফ বা দরূদে ইব্রাহিমের ফজিলত
اللّٰهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ، وَعَلَى اٰلِ مُحَمَّدٍ، كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى إِبْرَاهِيْمَ، وَعَلَى اٰلِ إِبْرَاهِيْمَ، إِنَّكَ حَمِيْدٌ مَّجِيْدٌ،
اللّٰهُمَّ بَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ وَّعَلَى اٰلِ مُحَمَّدٍ، كَمَا بَارَكْتَ عَلَى إِبْرَاهِيْمَ وَعَلَى اٰلِ إِبْرَاهِيْمَ، إِنَّكَ حَمِيْدٌ مَّجِيْدٌ
বাংলাঃ আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিও ওয়া আলা আলি মুহাম্মাদ কামা সাল্লাইতা আলা ইব্রাহিম ওয়ালা আলি ইব্রাহীম ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ।
আল্লাহুম্মা বারিক আলা মোহাম্মদিও ওয়ালা আলি মুহাম্মদ কামা বারাকতা আলা ইব্রাহিম ওয়ালা আলি ইব্রাহীম ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ ওয়ালা আলে মোহাম্মদ।
হে আল্লাহ! আপনি শান্তি বর্ষণ করুন মুহাম্মাদের উপর এবং তাঁর পরিবার-পরিজনের উপর, যেমন আপনি শান্তি বর্ষণ করেছেন ইবরাহীম ও তাঁর পরিবার-পরিজনদের উপর। নিশ্চয় আপনি অত্যন্ত প্রশংসিত ও মহামহিমান্বিত।
হে আল্লাহ! আপনি মুহাম্মাদ ও তাঁর পরিবার পরিজনের উপর বরকত নাযিল করুন যেমন আপনি বরকত নাযিল করেছিলেন ইবরাহীম ও তাঁর পরিবার-পরিজনের উপর। নিশ্চয় আপনি অত্যন্ত প্রশংসিত ও মহামহিমান্বিত।
বুখারী, নং ৩৩৭০; মুসলিম, নং ৪০৬
দোয়া মাসূরা
اللّٰهُمَّ إِنِّيْ ظَلَمْتُ نَفْسِيْ ظُلْمًا كَثِيْرًا، وَلَا يَغْفِرُ الذُّنُوْبَ إِلاَّ أَنْتَ، فَاغْفِرْ لِيْ مَغْفِرَةً مِّنْ عِنْدِكَ وَارْحَمْنِيْ، إِنَّكَ أَنْتَ الْغَفُوْرُ الرَّحِيْمُ
বাংলাঃ আল্লাহুম্মা ইন্নি জালামতু নাফসি জুলমান কাসিরা ওয়ালা ইয়াক ফিরুজ জুনুবা ইল্লা আগতা ফাকফিরলী যুনুবা মাগফিরাতাম ইন্দিকা ওয়ার হামনি ইন্নাকা আন্তালগাফুরুর রাহিম।
হে আল্লাহ! আমি আমার নিজের উপর অনেক যুলুম করেছি। আর আপনি ছাড়া গুনাহসমূহ ক্ষমা করার কেউ নেই। অতএব আমাকে আপনার পক্ষ থেকে আমাকে মাফ করে দিন, আর আমার প্রতি দয়া করুন; আপনিই তো ক্ষমাকারী, পরম দয়ালু।
বুখারী, নং ৮৩৪; মুসলিম ৪/২০৭৮, নং ২৭০৫।
সালাম ফিরানোর পর দোয়া / জিকির
একবার বলবেঃ
اللّٰهُ أَكْبَر
আল্লাহু আকবর
আল্লাহ সবকিছুর চেয়ে শ্রেষ্ঠ।
তিনবার বলবেঃ
أَسْتَغْفِرُ اللّٰهَ
আসতাগফিরুল্লাহ
আমি আল্লাহ্র নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
এরপর পড়বেঃ
اَللّٰهُمَّ أَنْتَ السَّلَامُ، وَمِنْكَ السَّلَامُ، تَبَارَكْتَ يَا ذَا الْجَلَالِ وَالْإِكْرَامِ
আল্লাহুম্মা আনতাস সালাম ওয়া মিনকাস সালাম তাবারাকতা ইয়া যাল জালালি ইকরাম।
হে আল্লাহ! আপনি শান্তিময়। আপনার নিকট থেকেই শান্তি বর্ষিত হয়। আপনি বরকতময়, হে মহিমাময় ও সম্মানের অধিকারী!
মুসলিম, নং ৫৯১১
এরপর একবার বলবে,
لَا اِلٰهَ إِلَّا اللّٰهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيْكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلٰى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ
একমাত্র আল্লাহ ছাড়া ইবাদতের উপযুক্ত কোনো মাবুদ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই, রাজত্ব তাঁরই, সমস্ত প্রশংসাও তাঁর, আর তিনি সর্বশক্তিমান।
তারপর,
اَللّٰهُمَّ لَا مَانِعَ لِمَا أَعْطَيْتَ، وَلَا مُعْطِيَ لِمَا مَنَعْتَ، وَلَا يَنْفَعُ ذَا الْجَدِّ مِنْكَ الْجَدُّ
হে আল্লাহ, আপনি যা প্রদান করেছেন তা প্রতিহত করার কেউ নেই, আর আপনি যা আটকে রেখেছেন তা প্রদান করারও কেউ নেই। আর কোনো ক্ষমতা-প্রতিপত্তি আপনার কাছে কোনো উপকারে আসবে না।
বুখারী, নং ৮৪৪; মুসলিম, নং ৫৯৩
প্রত্যেকটি ৩৩ বার করে বলবে,
سُبْحَانَ اللّٰهِ
সুবহানাল্লাহ
وَالْحَمْدُ لِلّٰهِ
অলহামদুলিল্লাহ
وَاللّٰهُ أَكْبَرُ
আল্লাহু আকবার
আল্লাহ কতই না পবিত্র-মহান। সকল প্রশংসা আল্লাহ্র জন্য। আল্লাহ সবচেয়ে বড়।
তারপর বলবে,
لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللّٰهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيْكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ
একমাত্র আল্লাহ ছাড়া ইবাদতের উপযুক্ত কোনো মাবুদ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই, রাজত্ব তাঁরই, সকল প্রশংসা তাঁরই এবং তিনি সর্বশক্তিমান।
মুসলিম, ১/৪১৮, নং ৫৯৭;
মাগরিব ও ফজরের নামাযের পর ১০ বার করে পড়বে,
لَا إِلَهَ إِلاَّ اللّٰهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيْكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ يُحْيِيْ وَيُمِيْتُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ
একমাত্র আল্লাহ ছাড়া ইবাদতের উপযুক্ত কোনো মাবুদ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই, রাজত্ব তারই এবং সকল প্রশংসা তাঁর। তিনিই জীবিত করেন এবং মৃত্যু দান করেন। আর তিনি সর্বশক্তিমান।
তিরমিযী, নং ৩৪৭৪; আহমাদ, নং ১৭৯৯০। হাদীসটির তাখরীজের জন্য আরও দেখুন, যাদুল মা‘আদ ১/৩০০।
ফজর নামাযের সালাম ফিরানোর পর পড়বে,
اللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَسْأَلُكَ عِلْمًا نَافِعًا، وَرِزْقًا طَيِّبًا، وَعَمَلًا مُتَقَبَّلًا
হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট উপকারী জ্ঞান, পবিত্র রিযিক এবং কবুল হবে এমন আমল প্রার্থনা করি।
ইবন মাজাহ্, নং ৯২৫; নাসাঈ, তাঁর আমালুল ইয়াওমি ওয়াল্লাইলাহ গ্রন্থে, হাদীস নং ১০২
প্রত্যেক ফরজ সালাতের পর একবার করে
সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক্ব ও সূরা নাস পড়া সুন্নাহ।
সূত্রঃ আবু দাঊদ, নং ১৫২৩; তিরমিযী, নং ২৯০৩; নাসাঈ, নং ১৩৩৫
আয়াতুল কুরসি পড়ার সময়
প্রত্যেক সালাতের পর একবার আয়াতুল কুরসি পড়া। যে ব্যক্তি প্রত্যেক সালাতের পর আয়াতুল কুরসি পড়বে, মৃত্যু ছাড়া তার জান্নাতে প্রবেশে আর অন্য কিছু বাধা হয়ে দাঁড়াবে না।
اللّٰهُ لَآ إِلٰهَ إِلَّا هُوَ الْحَىُّ الْقَيُّوْمُ ۚ
আল্লাহ্, তিনি ছাড়া ইবাদতের উপযুক্ত কোনো মাবুদ নেই। তিনি চিরঞ্জীব, সর্বসত্তার ধারক।
لَا تَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَّلَا نَوْمٌ ۚ
তাঁকে তন্দ্রাও স্পর্শ করতে পারে না, নিদ্রা তো নয়ই।
لَّهُ مَا فِى السَّمٰوٰتِ وَمَا فِى الْأَرْضِ ۗ
আসমানসমূহে যা রয়েছে ও যমীনে যা রয়েছে সবই তাঁর।
مَنْ ذَا الَّذِى يَشْفَعُ عِنْدَهُ إِلَّا بِإِذْنِهٖ ۚ
কে সে, যে তাঁর অনুমতি ব্যতীত তাঁর কাছে সুপারিশ করবে?
يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيْهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ ۖ
তাদের সামনে ও পিছনে যা কিছু আছে তা তিনি জানেন।
وَلَا يُحِيْطُوْنَ بِشَىْءٍ مِّنْ عِلْمِهٖٓ إِلَّا بِمَا شَآءَ ۚ
আর যা তিনি ইচ্ছে করেন তা ছাড়া তাঁর জ্ঞানের কোনো কিছুকেই তারা পরিবেষ্টন করতে পারে না।
وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمٰوٰتِ وَالْأَرْضَ ۖ
তাঁর ‘কুরসী’ আসমানসমূহ ও যমীনকে পরিব্যাপ্ত করে আছে;
وَلَا يَؤُوْدُهٗ حِفْظُهُمَا
আর এ দুটোর রক্ষণাবেক্ষণ তাঁর জন্য বোঝা হয় না।
وَهُوَ الْعَلِىُّ الْعَظِيْمُ
আর তিনি সুউচ্চ সুমহান।
নাসাঈ, আমালুল ইয়াওমি ওয়াল্লাইলাহ, নং ১০০; ইবনুস সুন্নী, নং ১২১
আয়াতুল কুরসি বলা হয় সূরা বাক্বারার ২৫৫ নং আয়াতকে।।
তারাবি নামাজের চার রাকাত পরপর যে দোয়া পড়তে হয়
তারাবীর নামাজের প্রতি চার রাকাতের বিরতিতে পড়ার জন্যে বিশেষ কোনো দুআ নেই। যে কোনো দুআ এ সময় পড়া যেতে পারে। এ সময়টা মূলত বিশ্রামের জন্যে। তারাবীহ অর্থই হলো বিশ্রাম।
আমাদের সমাজে এ সময়ে পড়ার একটি দুআ প্রচলিত আছে। দুআটি কোনো হাদীসে বর্ণিত হয়নি। তাই ভুল উচ্চারণে কষ্ট করে এ দুআ না পড়ে সহীহ উচ্চারণে সুবহানাল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ বা এ জাতীয় কোনো দুআ পড়ুন। এমনকি বিশ্রামও নিতে পারেন। এতেও কোনো অসুবিধা নেই। আর এ তো বলাবাহুল্য, ভুল উচ্চারণে বেশি কিছু পড়ার চেয়ে সঠিক উচ্চারণে কম পড়াও ভালো। বিশেষত যদি হাদীসে সে ক্ষেত্রে বিশেষ কোনো দুআ বর্ণিত না থাকে।
নোটঃ
আশা করি আমাদের বাংলা ব্লগ ওয়েবসাইটির তথ্য সংগ্রহ করে আপনি খুশি এবং উপকৃত হয়েছেন।
এরকম আরো অসংখ্য হাদিস ও শিক্ষামূলক পোস্ট পেতে আমাদের এই বাংলা ব্লক ওয়েবসাইট এর সাথেই থাকুন ।
প্রয়োজনীয় সকল তথ্য পেতে ভিজিট করুন জে কে ব্লগ বিডি ডট কম ওয়েবসাইটডে ও যোগাযোগ করুন জিমেইল ,টেলিগ্রাম, ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ ও জে কে ব্লক বিডি ডট কম ওয়েবসাইটে।
আমাদের এই জে কে বাংলা ব্লগ বিডি ওয়েবসাইটটি ভিজিট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url