গর্ভ অবস্থায় মহিলাদের কি কি করণীয় | যে সকল কাজ করতে হবে
গর্ভবতী মহিলাদের ১ম সপ্তাহে যা যা করতে হয়
গর্ভবতী মহিলাদের ১ম সপ্তাহে কিছু কাজ ও সতর্কতা অনুসরণ করা উচিত:
১. প্রয়োজনে ডাক্তারের সাথে আলাপ করুন এবং পরামর্শ নিন।
২. প্রয়োজনে প্রেসক্রিপশন মেডিসিন নিন।
৩. সময়ে সময়ে অধিক পরিমাণে পানি পান করুন।
৪. যত সম্ভব নিজেকে স্থির রাখুন এবং চিন্তা না করে স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করুন।
৫. পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন এবং যত সম্ভব স্থির পরিবেশে থাকুন।
৬. ধূমপান এবং অল্কোহল সেবন করা থেকে বিরত থাকুন।
৭. যত্ন সাথে জীবন্ত জীবন্ত পণ্য সংগ্রহ করুন, যেমনঃ প্রাকৃতিক খাবার।
এই সময়ে মহিলারা নিজের স্বাস্থ্য এবং শিশুর সুরক্ষায় সতর্ক থাকা উচিত। যেকোনো অস্থিরতা অথবা অস্বাভাবিক অবস্থার জন্য তা তাদের ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
গর্ভবতী মহিলাদের স্বাস্থ্যসেবা
গর্ভবতী মহিলাদের স্বাস্থ্যসেবা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এটি তাদের ও শিশুর স্বাস্থ্য সম্পর্কে যত্ন ও সমর্থন নিশ্চিত করে। গর্ভবতী মহিলাদের স্বাস্থ্যসেবা মন্তব্য ব্যতিক্রম করতে পারে, কিন্তু কিছু মৌলিক সেবা হতে পারে:
১. প্রতিদিনের পুরো প্রয়োজনীয় পুষ্টি পরিমাপের জন্য খাবারের পরামর্শ এবং খাবারের পরিবর্তনের সাথে সহায়তা।
২. গর্ভাবস্থার যত্ন এবং সুস্থ পরিবেশে বিভিন্ন সাথে মানসিক সমর্থন এবং পরামর্শ প্রদান।
৩. প্রয়োজনে নিজের স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং যে কোনও সমস্যার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ প্রাপ্ত করা।
৪. যত্ন, স্থিরতা এবং সমর্থনের সাথে প্রতিদিন সম্পর্ক থাকা।
৫. শিশুর পরীক্ষা, টেস্ট এবং অপরিস্থিতির জন্য সুস্থ অবস্থার সন্ধান করা।
গর্ভবতী মহিলাদের প্রায়শই বিভিন্ন পরীক্ষা, স্ক্যান, পরামর্শ এবং সহায়তা প্রয়োজন হতে পারে। এগুলি তাদের ও তাদের শিশুর সুস্থ জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
গর্ভবতী মহিলাদের যখন ডাক্তার দেখাতে হবে
গর্ভবতী মহিলাদের ডাক্তারের সাথে নিয়মিত দেখা দরকার হলে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে বিভিন্ন হতে পারে। সাধারণত, গর্ভবতী মহিলাদের প্রেগন্যান্সি পেরিয়ডে (অর্থাৎ গর্ভাবস্থা শুরু হওয়ার পর তদন্তের প্রথম পর্যায়) প্রথম ত্রিমাসিকে (প্রায় 12 সপ্তাহ) অনেকটা নিয়মিত ডাক্তারের সাথে দেখা হতে পারে। এই সময়ে ডাক্তার সাধারণত গর্ভবতী মহিলার শিশুর জন্য সম্পর্কে বিশেষভাবে মন্তব্য বা পরামর্শ প্রদান করতে পারেন এবং প্রয়োজনে প্রেগন্যান্সি এবং সম্পর্কিত পরীক্ষা করেন।
তবে, সাধারণত এরপরে, মহিলার স্বাস্থ্য এবং শিশুর উন্নতির অবস্থা উপর নির্ভর করে ডাক্তার নিয়ে দেখা দরকার হতে পারে। ডাক্তার সাধারণত প্রতিসপ্তাহে অথবা প্রতি দুই সপ্তাহে গর্ভবতী মহিলাদের সাথে দেখা করতে পারেন, তবে প্রয়োজন অনুযায়ী এটি পরিবর্তন করা যেতে পারে।
সমস্যাপ্রাপ্ত সময়ে, ডাক্তার মহিলাকে অতিরিক্ত দেখা করতে বলতে পারেন। তবে, যেকোনো আশঙ্কা বা সমস্যার সাথে তাত্পর্যপূর্ণ সম্পর্ক এবং পরামর্শের জন্য মহিলাকে তাদের ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।
গর্ভবতী মহিলাদের যে সকল খাবার প্রয়োজন/ খাবারের তালিকা
গর্ভবতী মহিলাদের জন্য প্রয়োজনীয় খাবার তাদের ও শিশুর স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট। নিম্নলিখিত খাবার তাদের স্বাস্থ্য এবং প্রসব প্রক্রিয়ায় সহায়তা করতে পারে:
১. প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার: মাছ, মাংস, ডাল, ডাইরি পণ্য (দুধ, দই, পানির পণ্য), ডিম, সোয়া প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার গর্ভবতী মহিলাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
২. ফল ও সবজি: ফল ও সবজি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এগুলি পুষ্টিকর এবং ফোলেটিক এসিড, ভিটামিন, আয়রন ইত্যাদি সরবরাহ করে। সবজি এবং ফলে বিশেষভাবে পুষ্টিকর সবজি এবং ফলের পণ্য প্রসব প্রক্রিয়া এবং শিশুর উন্নতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।
৩. গোঁলা অণ্ডা: গোঁলা অণ্ডা গর্ভবতী মহিলাদের জন্য ভাল একটি সূত্র প্রোটিন এবং অন্যান্য পুষ্টি সরবরাহ করার জন্য।
৪. প্রাকৃতিক গ্রেইনস্: সম্পূর্ণ অটোমেটো, চাউল, ধান, মুগ ইত্যাদি প্রাকৃতিক গ্রেইনস্ গর্ভবতী মহিলাদের ক্যারোহাইড্রেট সরবরাহ করতে সাহায্য করতে পারে।
৫. দুধ এবং দুধ পণ্য: ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, ভিটামিন ডি এবং অন্যান্য পুষ্টি সরবরাহের জন্য দুধ এবং দুধ পণ্য গর্ভবতী মহিলাদের জন্য উত্তম হতে পারে।
এই খাবার পদার্থগুলি গর্ভবতী মহিলার ও শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হতে পারে। তবে, এই খাবার পদার্থগুলি সম্পর্কে তাদের ডাক্তারের সাথে আলোচনা করা উচিত, যাতে তারা সঠিক পরিমাণে এবং যথাযথভাবে সেবন করতে পারেন।
গর্ভবতী মহিলাদের কতদিন পর পর চেকআপ করতে হবে
সাধারণত, নিয়মিত সন্তান চেকআপ প্রথম সন্তানের জন্য প্রাথমিক যে পর্যায়ে হয় তা হলো:
১. নবজাতক বা নবজাতক পরিক্ষা (নিউবর্ন চেকআপ): মোটামুটি ১-২ সপ্তাহ পর জন্মের পর প্রাথমিক চেকআপ হয়। এই সময়ে বাচ্চার গর্ভধারণ, শিশুর স্বাস্থ্য অবস্থা এবং মা ও শিশুর সাথে সম্পর্কে পরামর্শ প্রদান করা হয়।
২. মাসিক চেকআপ: এরপরে, মাসিক চেকআপ করা হয়, যা শিশুর উন্নতি এবং স্বাস্থ্য পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। সাধারণত, এই চেকআপ গুলি নিয়মিত হয়, যেমনঃ ১, ২, ৪, ৬, ৯, ১২ মাসে।
এই সময়সীমা ও সম্পর্কিত পরামর্শ ডাক্তারের পরামর্শের উপর নির্ভর করে বা ব্যক্তিগত পরিস্থিতিতে পরিবর্তন করতে পারে। তবে, প্রতিটি দেশের স্বাস্থ্য নীতিমালা বা চুক্তি ভিত্তিতে চেকআপের সময় ও তার প্রয়োজনীয়তা পরিচিত করা উচিত এবং অনুসরণ করা উচিত। সম্পর্কিত সকল বিষয়ে আপনি আপনার জিনিসটি ডাক্তারের সাথে আলাপ করতে পারেন।
গর্ভ অবস্থায় সহবাস করলে যা যা হতে পারে
যৌন মিলন একটি ব্যক্তিগত ও গোপন বিষয়, তবে এটি সম্পর্কে স্বাস্থ্যগত এবং মনস্তত্ত্বিক পরামর্শ প্রয়োজন। গর্ভবতী মহিলার ক্ষেত্রে, প্রথমত, তারা তাদের ডাক্তারের সাথে আলোচনা করে তাদের যৌন স্বাস্থ্য এবং গর্ভাবস্থার সময় কি স্বাস্থ্যগত সম্পর্কে সম্মত এবং কি বিনা ঝামেলা এবং সুরক্ষিত।
গর্ভবতী মহিলা পারিবারিক ও মানসিক সমর্থনের সাথে সুস্থ যৌন জীবন উপভোগ করতে পারেন। যেমন, তারা কোনও যৌন সমস্যার সাথে পরামর্শের জন্য ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
প্রধানত, গর্ভবতী মহিলার যৌন মিলনের ক্ষেত্রে পারিবারিক সমর্থন ও কমুনিকেশন গুরুত্বপূর্ণ। তারা যে কোনও সমস্যা বা উদ্ধারের জন্য আত্মবিশ্বাস করতে পারেন এবং স্বাস্থ্যগত এবং মনস্তত্ত্বিক সমস্যার ক্ষেত্রে সাহায্যের জন্য নির্দিষ্ট স্থানে নিজেকে আনতে পারেন।
চেকআপে যাওয়া আগে বা পরে, স্বাস্থ্যগত এবং মনস্তত্ত্বিক যৌন সমস্যার সাথে সাহায্যের জন্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রের জন্য যোগাযোগ করা যেতে পারে।
কখন সন্তান প্রসব করার সময় হবে
সন্তানের প্রসব একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং মাতৃ ও শিশুর জন্য সংগঠিত অধ্যায়। সন্তানের প্রসবের পদক্ষেপগুলি মা এবং শিশুর স্বাস্থ্য সংরক্ষণের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি সন্তানের স্বাস্থ্য এবং মা-শিশুর সুরক্ষায় মুখ্য ভূমিকা পালন করে:
১. প্রসব সময়ে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাওয়া: মা যদি গর্ভাবস্থার শেষে বা জন্মের সময়ে কোন যেকোনো সমস্যার সঙ্গে প্রসব শুরু হয়, তবে তা সমস্যার সাথে মোকাবেলার জন্য দ্রুততার সঙ্গে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।
২. প্রসবের প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা: প্রসবের পরিকল্পনা সন্তানের প্রসবের সময়ে ব্যবহৃত হয়, যেমন হাসপাতালের ঠিকানা, আপেক্ষিকদের তথ্য ইত্যাদি।
৩. প্রসব পদক্ষেপ: গর্ভবতী মহিলা প্রসবের সময়ে আরামদায়ক এবং সুখবরবহুল পরিবেশে প্রসব করতে চায়।
৪. স্তন্যপান শুরু ও মা ও শিশুর যৌথ সঙ্গে থাকা: স্তন্যপান শিক্ষা এবং মা ও শিশুর মধ্যে সামর্থ্যবান সংলাপ শিশুর স্বাস্থ্য ও বিকাশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
৫. প্রস্তুতি ও পরামর্শ: প্রস্তুতি এবং পরামর্শের মাধ্যমে মা এবং পরিবার সন্তানের যৌক্তিক ও মানসিক সমর্থন প্রদান করতে পারে।
সন্তানের প্রসব সময়ে, মা এবং শিশুর স্বাস্থ্য ও সুরক্ষার জন্য প্রস্তুতি ও পরামর্শ প্রদানের জন্য স্থানীয় স্বাস্থ্য পরিষেবা সরবরাহকারীদের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।।
নোটবুক : আশাকরি আপনি আমাদের ওয়েবসাইটে এসে কাঙ্খিত তথ্য সংগ্রহ করতে পেরেছেন এবং উপকৃত হয়েছেন।
এরকম আরো অসংখ্য হাদিস ও শিক্ষামূলক পোস্ট সহ আরো বিভিন্ন ধরনের পোস্ট পেতে আমাদের এই বাংলা ব্লক ওয়েবসাইট এর সাথেই থাকুন ।
প্রয়োজনীয় সকল তথ্য পেতে ভিজিট করুন জে কে ব্লগ বিডি ডট কম ওয়েবসাইটডে ও যোগাযোগ করুন জিমেইল ,টেলিগ্রাম, ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ ও জে কে ব্লক বিডি ডট কম ওয়েবসাইটে।
আমাদের এই জে কে বাংলা ব্লগ বিডি ওয়েবসাইটটি ভিজিট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url