নামাজের দোয়া ও তাজবী | Namazer Doya O Tajbi

              

             আযানের পর পড়ার দোয়া  

 দোয়া জাবির ইব্‌নু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:

যে ব্যক্তি আযান শুনে (নিম্নোক্ত) দু’আ পাঠ করে, কিয়ামতের দিন সে আমার শাফা’আত লাভের অধিকারী হবে। (দু'আটি হলো:)

اَللّٰهُمَّ رَبَّ هٰذِهِ الدَّعْوَةِ التَّامَّةِ وَالصَّلاَةِ الْقَائِمَةِ آتِ مُحَمَّدًا الْوَسِيْلَةَ وَالْفَضِيْلَةَ وَابْعَثْهُ مَقَامًا مَّحْمُوْدًا الَّذِيْ وَعَدْتَهُ

অনুবাদঃ হে আল্লাহ! এ পরিপূর্ণ আহ্বান ও প্রতিষ্ঠিত সালাতের , মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে ওয়াসীলা ও সর্বোচ্চ মর্যাদার অধিকারী করুন এবং তাঁকে সে মাকামে মাহমুদে পোঁছে দিন যার অঙ্গীকার আপনি করেছেন

(বুখারী ৬১৪)

                      অযুর নিয়ত

নিয়ত অর্থ ইচ্ছা করা, সংকল্প করা। মনে মনে আমরা পবিত্র হওয়ার উদ্দেশ্যে যখন অযুখানায় প্রবেশ করি তখন‌ই অযুর নিয়ত হয়ে যায়। কুরআন-হাদীসের কোথাও অযুর শুরুতে পড়তে হবে এমন নিয়তের বাক্য বর্ণনা করা হয়নি। বিভিন্ন বইতে যে সকল নিয়তের বাক্য দেয়া থাকে সেগুলো আরবিভাষী কোনো ব্যক্তির বানানো; হাদিস থেকে সংগৃহীত নয়। তাই অযুর শুরুতে সেই আরবি বাক্যগুলো মুখে উচ্চারণ করাকে জরুরি বা বেশি সওয়াবের কাজ কিংবা দ্বীনের অপরিহার্য অংশ মনে করা বিদআত।মসজিদে প্রবেশের সময় সুন্নাহসমূহ:

      মসজিদে প্রবেশের দোয়া ও  সুন্নত 

১. বিসমিল্লাহ ও দরুদ শরীফ পড়া। দুটি একত্রে এভাবে পড়া যায় :

بِسْمِ اللّٰهِ وَالصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ عَلَى رَسُوْلِ اللّٰهِ


অর্থ: আমি আল্লাহ্‌র নামে (প্রবেশ করছি) এবং সালাত ও সালাম আল্লাহ্‌র রাসূলের উপর। [১] (এক হাদীসে মসজিদে প্রবেশের সময় শয়তান থেকে আশ্রয় চাওয়ার কথাও আছে। হাদীসে বর্ণিত দোয়াটি এমন-

أَعُوْذُ بِاللّٰهِ العَظِيْمِ، وَبِوَجْهِهِ الْكَرِيْمِ، وَسُلْطَانِهِ الْقَدِيْمِ، مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ 


অর্থ: আমি মহান আল্লাহ্‌র কাছে তাঁর সম্মানিত চেহারা ও প্রাচীন ক্ষমতার ওসীলায় বিতাড়িত শয়তান থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। [২]


এই দোয়াটি পড়তে চাইলে এটি পড়ে বিসমিল্লাহ ও পরে দুরুদ শরীফ পড়ুন।


২. মসজিদে প্রবেশের দুআ পড়া।

اللّٰهُمَّ افْتَحْ لِيْ أَبْوَابَ رَحْمَتِكَ 

হে আল্লাহ! আপনি আমার জন্য আপনার রহমতের দরজাসমূহ খুলে দিন। [৩]

৩. ডান পা দিয়ে মসজিদে প্রবেশ করা। [৪]

রেফারেন্স:

[১] ইবনুসসুন্নী, নং ৮, আবূ দাউদ, নং ৪৬৫।

[২] আবূ দাউদ, নং ৪৬৬।

[৩] মুসলিম ১/৪৯৪, নং ৭১৩; আর সুনানু ইবন মাজায় ফাতিমা রাদিয়াল্লাহু আনহার হাদীসে এসেছে,

اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لِيْ ذُنُوْبِيْ وافْتَحْ لِيْ أبْوَابَ رَحْمَتِكَ

 “হে আল্লাহ, আমার গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দিন এবং আমার জন্য আপনার রহমতের দুয়ারগুলো খুলে দিন”।  

দেখুন, ইবন মাজাহ, নং ৭৭১।

[৪] হাকিম ১/২১৮; বাইহাকী, ২/৪৪২।


     মসজিদ থেকে বের হওয়ার দোয়া 

বাম পা দিয়ে মসজিদ থেকে বের হবে [১] এবং বলবে,


بِسْمِ اللّٰهِ وَالصّلَاةُ وَالسَّلَامُ عَلَى رَسُوْلِ اللّٰهِ، اللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَسْأَلُكَ مِنْ فَضْلِك، اللّٰهُمَّ اعْصِمْنِيْ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ، 

আমি আল্লাহ্‌র নামে (বের হচ্ছি)। আল্লাহ্‌র রাসুলের উপর সালাত ও সালাম বর্ষিত হোক। হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আপনার দয়া প্রার্থনা করি। হে আল্লাহ, আমাকে বিতাড়িত শয়তান থেকে হেফাযত করুন। [২]

আল-হাকিম, ১/২১৮; বাইহাকী, ২/৪৪২।

           সানা- আল্লাহর প্রশংসা 

আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন নামায শুরু করতেন তখন বলতেন, 

سُبْحَانَكَ اللّٰهُمَّ وَبِحَمْدِكَ وَتَبَارَكَ اسْمُكَ وَتَعَالٰى جَدُّكَ وَلَا إِلٰهَ غَيْرُكَ

অর্থ: হে আল্লাহ! আপনার প্রশংসাসহ আপনার পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছি, আপনার নাম বড়ই বরকতময়, আপনার প্রতিপত্তি অতি উচ্চ। আর আপনি ব্যতীত ইবাদতের উপযুক্ত অন্য কোন মাবুদ নেই।

সূত্র: মুসলিম-৩৯৯, আবু দাঊদ-৭৭৫, তিরমিযী-২৪৩, ইবনু মাজাহ-৮০৬, নাসায়ী-৮৯

       রুকুতে পড়ার দোয়া 

দুআ ১

سُبْحَانَ رَبِّيَ الْعَظِيْمِ

আমি আমার মহান প্রতিপালকের পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছি।

সূত্রঃ আবূ দাউদ, নং ৮৭০; তিরমিযী, নং ২৬২; নাসাঈ, নং ১০০৭; ইবনে মাজাহ, নং ৮৯৭; আহমাদ, নং ৩৫১৪। 

দুআ ২

سُبْحَانَكَ اللّٰهُمَّ رَبَّنَا وَبِحَمْدِكَ، اللّٰهُمَّ اغْفِرْ لِيْ


হে আল্লাহ! আমাদের প্রতিপালক! আপনার প্রশংসাসহ আপনার পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছি । হে আল্লাহ! আপনি আমাকে মাফ করে দিন।


সূত্রঃ বুখারী ১/৯৯, নং ৭৯৪; মুসলিম ১/৩৫০, নং ৪৮৪

দুআ ৩

سُبُّوْحٌ، قُدُّوْسٌ، رَبُّ الْمَلَائِكَةِ وَالرُّوْحِ 

(তিনি) অত্যন্ত পবিত্র, মহিমান্বিত; ফেরেশতাগণ ও রূহ এর প্রতিপালক।

সূত্র: মুসলিম ১/৩৫৩, নং ৪৭৪; আবূ দাউদ ১/২৩০, নং ৮৭২

দুআ ৪

سُبْحَانَ ذِيْ الْجَبَرُوْتِ، وَالْمَلَكُوْتِ، وَالْكِبْرِيَاءِ، وَالْعَظَمَةِ

পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছি সেই সত্তার, যিনি প্রবল প্রতাপ, বিশাল সাম্রাজ্য, বিরাট গৌরব-গরিমা এবং অতুলনীয় মহত্ত্বের অধিকারী।

সূত্রঃ আবূ দাউদ ১/২৩০ নং ৮৭৩; নাসাঈ-১১৩১; আহমাদ-১৩৯৮০৩০ নং ৮৭৩; নাসাঈ-১১৩১; আহমাদ-১৩৯৮০


      সিজদায় পড়ার দোয়া 

سُبْحَانَ رَبِّيَ الأَعْلٰى 


 অর্থঃ হে আমার প্রতিপালকের পবিত্রতা ও মহিমা বর্ণনা করছি, যিনি সবার উপরে!!

সূত্র : আবূ দাউদ, হাদীস নং ৮৭০; তিরমিযী, হাদীস নং ২৬২; নাসাঈ, হাদীস নং ১০০৭; ইবন মাজাহ, হাদীস নং ৮৯৭; আহমাদ, হাদীস নং ৩৫১৪


 তাশাহ্হুদ- অ্যাত্তাহিয়্যাতু

اَلتَّحِيَّاتُ لِلّٰهِ، وَالصَّلَوَاتُ، وَالطَّيِّبَاتُ، اَلسَّلاَمُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللّٰهِ وَبَرَكَاتُهُ، اَلسَّلاَمُ عَلَيْنَا وَعَلٰى عِبَادِ اللّٰهِ الصَّالِحِيْنَ، أَشْهَدُ أَنْ لَّا إِلٰهَ إِلَّا اللّٰهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهٗ وَرَسُوْلُهٗ 


যাবতীয় অভিবাদন আল্লাহর জন্য, অনুরূপভাবে সকল সালাত ও পবিত্র কাজও। হে নবী! আপনার উপর বর্ষিত হোক আল্লাহর পক্ষ থেকে শান্তি, রহমত ও বরকতসমূহ। আমাদের উপর এবং আল্লাহর সৎ বান্দাদের উপরও বর্ষিত হোক শান্তি। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া ইবাদতের উপযুক্ত কোনো মাবুদ নেই এবং আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আল্লাহর বান্দা ও রাসূল।

সূত্রঃ বুখারী, নং ৮৩১; মুসলিম ১/৩০১, নং ৪০২


           দরূদ শরীফ

দরূদ শরীফ (দরূদে ইবরাহীম)

اللّٰهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ، وَعَلَى اٰلِ مُحَمَّدٍ، كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى إِبْرَاهِيْمَ، وَعَلَى اٰلِ إِبْرَاهِيْمَ، إِنَّكَ حَمِيْدٌ مَّجِيْدٌ،

 اللّٰهُمَّ بَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ وَّعَلَى اٰلِ مُحَمَّدٍ، كَمَا بَارَكْتَ عَلَى إِبْرَاهِيْمَ وَعَلَى اٰلِ إِبْرَاهِيْمَ، إِنَّكَ حَمِيْدٌ مَّجِيْدٌ

অর্থঃ

হে আল্লাহ! আপনি শান্তি বর্ষণ করুন মুহাম্মাদের উপর এবং তাঁর পরিবার-পরিজনের উপর, যেমন আপনি শান্তি বর্ষণ করেছেন ইবরাহীম ও তাঁর পরিবার-পরিজনদের উপর। নিশ্চয় আপনি অত্যন্ত প্রশংসিত ও মহামহিমান্বিত। 

হে আল্লাহ! আপনি মুহাম্মাদ ও তাঁর পরিবার পরিজনের উপর বরকত নাযিল করুন যেমন আপনি বরকত নাযিল করেছিলেন ইবরাহীম ও তাঁর পরিবার-পরিজনের উপর। নিশ্চয় আপনি অত্যন্ত প্রশংসিত ও মহামহিমান্বিত।

বুখারী, নং ৩৩৭০; মুসলিম, নং ৪০৬।


           দোয়া মাসূরা


اللّٰهُمَّ إِنِّيْ ظَلَمْتُ نَفْسِيْ ظُلْمًا كَثِيْرًا، وَلَا يَغْفِرُ الذُّنُوْبَ إِلاَّ أَنْتَ، فَاغْفِرْ لِيْ مَغْفِرَةً مِّنْ عِنْدِكَ وَارْحَمْنِيْ، إِنَّكَ أَنْتَ الْغَفُوْرُ الرَّحِيْمُ

অর্থঃ

হে আল্লাহ! আমি আমার নিজের উপর অনেক যুলুম করেছি। আর আপনি ছাড়া গুনাহসমূহ ক্ষমা করার কেউ নেই। অতএব আমাকে আপনার পক্ষ থেকে আমাকে মাফ করে দিন, আর আমার প্রতি দয়া করুন; আপনিই তো ক্ষমাকারী, পরম দয়ালু।

বুখারী, নং ৮৩৪; মুসলিম ৪/২০৭৮, নং ২৭০৫।


তারাবির সালাতের মাঝে প্রতি চার রাকাত পর যে দোয়া পড়বে 

তারাবীর নামাজের প্রতি চার রাকাতের বিরতিতে পড়ার জন্যে বিশেষ কোনো দুআ নেই। যে কোনো দুআ এ সময় পড়া যেতে পারে। এ সময়টা মূলত বিশ্রামের জন্যে। তারাবীহ অর্থই হলো বিশ্রাম। 

আমাদের সমাজে এ সময়ে পড়ার একটি দুআ প্রচলিত আছে। দুআটি কোনো হাদীসে বর্ণিত হয়নি। তাই ভুল উচ্চারণে কষ্ট করে এ দুআ না পড়ে সহীহ উচ্চারণে সুবহানাল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ বা এ জাতীয় কোনো দুআ পড়ুন। এমনকি বিশ্রামও নিতে পারেন। এতেও কোনো অসুবিধা নেই। আর এ তো বলাবাহুল্য, ভুল উচ্চারণে বেশি কিছু পড়ার চেয়ে সঠিক উচ্চারণে কম পড়াও ভালো। বিশেষত যদি হাদীসে সে ক্ষেত্রে বিশেষ কোনো দুআ বর্ণিত না থাকে।


জানাযা নামাজের নিয়ম দোয়া 

জানাজার নামাজের তৃতীয় তাকবীরের পর মাইয়্যেতের জন্য দুআ করা সুন্নাহ। হাদীসে বর্ণিত একটি দুআ নিম্নরূপ : 

(১): প্রাপ্তবয়ষ্ক পুরুষ ও নারী উভয়ের জন্য নিচের দুআটি পড়া যাবেঃ


اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لِحَيِّنَا وَمَيِّتِنَا، وَشَاهِدِنَا وَغَائِبِنَا، وَصَغِيرِنَا وَكَبِيرِنَا، وَذَكَرِنَا وَأُنْثَانَا، اللَّهُمَّ مَنْ أَحْيَيْتَهُ مِنَّا فَأَحْيِهِ عَلَى الْإِسْلَامِ، وَمَنْ تَوَفَّيْتَهُ مِنَّا فَتَوَفَّهُ عَلَى الْإِيمَانِ، اَللّٰهُمَّ لَا تَحْرِمْنَا أَجْرَهُ، وَلَا تُضِلَّنَا بَعْدَهُ


অর্থঃ হে আল্লাহ! আমাদের জীবিত-মৃত, উপস্থিত-অনুপস্থিত, ছোট-বড় এবং পুরুষ-নারী সকলকে ক্ষমা করে দিন। হে আল্লাহ! আমাদের মধ্যে আপনি যাকে জীবিত রাখবেন তাকে ইসলামের উপর জীবিত রাখুন এবং আমাদের মধ্যে যাকে মৃত্যু দিবেন তাকে ঈমানের সাথে মৃত্যু দিন। হে আল্লাহ! এর সওয়াব থেকে আমাদেরকে বঞ্চিত করবেন না এবং এর পরবর্তীতে আমাদেরকে পথভ্রষ্ট করবেন না।

(আবু দাউদ ৩২০১)


(২): নাবালক শিশুদের জন্য নিচের দুআটি করা যায়ঃ

اللَّهُمَّ اجْعَلْهُ لَنَا فَرَطاً، وَسَلَفاً، وَأَجْراً


অর্থঃ হে আল্লাহ, আমাদের জন্য তাকে অগ্রগামী প্রতিনিধি, অগ্রিম পূণ্য এবং সওয়াব হিসেবে নির্ধারণ করে দিন।


(সহীহ বুখারীর ১৩৩৫ নং হাদীসের পূর্বে এই দুআটি সনদ উল্লেখ করা ছাড়া বর্ণনা করা হয়েছে।)


উপরের দুআগুলো মুখস্থ না থাকলে নারী-পুরুষ, শিশু-বৃদ্ধ সকলের জানাজায় নিচের দুআটি পড়া যেতে পারেঃ


    اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِلْمُؤْمِنِينَ وَالْمُؤْمِنَاتِ


অর্থঃ হে আল্লাহ! আপনি সকল মু’মিন নারী-পুরুষদের ক্ষমা করে দিন।।







এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url
ajkerit