পিল খাওয়ার অপকারিতা | জন্মনিয়ন্ত্রণে পিলের অপকারিতা | পিলের অপকারিতা - Disadvantages of the pill

সর্কতা অবলম্বন 

 বিষয়গুলি প্রতিটি মানুষের জানা থাকা আবশ্যক  কারণ আপনার আমার সবার ঘরেই মা-বোন আছে। আমরা কেউই চাইনা যেন আমাদের কারো মা-বোনের কোন ক্ষতি হয়। কিন্তু আমাদের অজান্তেই প্রতিনিয়ত আমরা এই ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি ।  আপনার আমার মা-বোনের জন্য সচেতন হওয়া খুবই জরুরি, কেননা আমরা প্রতিনিয়ত এই অবলম্বন অনুসরণ করে আসছি এতে করে আমরা প্রতিনিয়ত ক্ষতির দিকে অগ্রসর হচ্ছে। 

জন্মনিয়ন্ত্রণে পিলের অপকারিতা | জন্মনিয়ন্ত্রণ পিলের অপকারিতা 

বেশির ভাগ মেয়েই জন্মনিয়ন্ত্রন পিল খায়। জন্মনিয়ন্ত্রনের জন্য পিল খাওয়া মেয়েদের কাছে একটি সাধারন ব্যাপার, তাছাড়া মাসি/ক ঠিক করার জন্য ও অনেক সময় মেয়েরা পিল খায়। কিন্তু এই পিল সম্পর্কে মানুষের ধারণা খুব কম। একজন মেয়ের জন্য পিল কখনোই ভাল কিছু না বরং একটা মেয়ের জীবনকে ধিরে ধিরে শেষ করতে এই পিলই যথেষ্ট।

পিল খাওয়ার কারণে যে সমস্যাগুলো হয় |  পিল খাওয়ার সমস্যা 

১) হার্ট হ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ৩৫ বছরের বেশি মহিলাদের কখনোই পিল খাওয়া উচিত না কারণ এতে হার্ট এ/ট্যাক হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

২) পিলে লেভেনোগ্যাস্ট্রেল ও ৩০ মিলিগ্রাম ইস্ট্রোজেন থাকে, যেসব মেয়েদের মাইগ্রেন থাকে তারা যদি পিল কন্টিনিউ করে তাহলে তাদের স্ট্রো/কের সম্ভাবনা বেশি থাকে।

৩) উচ্চ রক্তচাপের একটি উল্লেখযোগ্য কারণ হল পিল সেবন।

৪) যারা বেশি পিল খায় তাদের ভেনাস থ্রোম্বোএম্বলিসম নামক রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে যার কারণে বর্তমান  সময়ে মেয়েদের ক্যান্সারের রোগ আক্রান্ত বেশি হচ্ছে। 

৫) বেশি মাথা ব্যথা হয়।

৬) হতাশার একটি কারণ ও হল অতিরিক্ত পিল খাওয়া।

৭) পিল ট্যাবলেট খাওয়ার কারণে খিটখিটে মেজাজ ও দেখা যায়। এতে করে সংসার ভাঙার বড় কারণ ও বটে।

৮) অতিরিক্ত পরিমাণে  বমি বমি ভাব এবং বমি হয়।

৯) ব্রে/স্টে অনেক ব্যথা হয়। বর্তমানে বেস্ট অ্যাপস শেষ থেকে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। 

১০) সাদা স্রাব হয়। অনুমিত ঋতুস্রাব হয়। 

১১)যারা পিল খায় নিয়মিত তারা সে/ক্সের সময় তেমন আনন্দ পায় না। এতে মনো দুর্বল সৃষ্টি হয়। 

১২) জরায়ু সিস্ট ও জরায়ু টিউমারও হতে পারে।

১৩) স্ত/ন ও জরায়ুর বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে।

১৪) পিল খাওয়ার কারণে ওজন বেড়ে যায়। শুধু ওজন নয় দেখা যায় যে ম্যাক্সিমাম মেয়েদের চর্বি বেড়ে যায় দেখতেও খারাপ দেখা যায়।  

১৫) ১ বছরের বেশি পিল খেলে তাদের গ্লুকোমা হয়।

পিল ট্যাবলেট মৃত্যুর কারণ 

★দীর্ঘদিন পিল খেলে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়।

সুতরাং যত কম পিল খাওয়া যায় একটা মেয়ের জন্য তা ততই মঙ্গলজনক। নিয়মিত না খেয়ে কিছুদিন গ্যাপ রেখে রেখে খেতে পারেন। খুব বেশি সমস্যা না থাকলে মেয়েদের উচিত পিল খাওয়া থেকে বিরত থাকা।

যেকোনো প্রশ্ন বা জানার থাকলে গোপনীয়তা বজায় রেখে বলবেন।

পিলের পরিবর্তে আপনি যে ওষুধ খাবেন 

পিল ট্যাবলেটের পরিবর্তে আপনি যদি অন্য ধরনের ঔষধ প্রদত্ত হতে চান তবে আপনার ডাক্তারের সাথে আলাপ করা উচিত। ডাক্তার আপনার সমস্যা, চিকিৎসা ইত্যাদির ভিত্তিতে আপনাকে উপযুক্ত ঔষধ প্রেস্ক্রাইব করবেন। তারাও কোনো অবস্থার জন্য সঠিক চিকিৎসা প্রদানে সাহায্য করবেন।

পিল কি

পিল হল একটি ঔষধিগুলির রূপ, যা সাধারণত থাকে একটি ছোট গোলাকার ট্যাবলেট বা ক্যাপসুলের মধ্যে। এটি বিভিন্ন ধরণের সমস্যার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হতে পারে।

পিল কত প্রকার ও কি কি 

পিল বিভিন্ন প্রকারের হতে পারে, যেমন: 

1. ট্যাবলেট: এটি সাধারণত সমস্যা ও রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়, এগুলো পানিতে গলাতে হয়। 

2. ক্যাপসুল: এটি সাধারণত তরল অথবা তেলাপচা ধরণে হয় এবং অন্য প্রকারের ঔষধ পূর্বে মূল্যায়ন করা হলে খাবার সাথে নেওয়া হয়। 

3. ক্যাপ্সুলের মধ্যে ক্যাপসুল: কোনো কোনো পিল একটি ক্যাপসুলের মধ্যে আছে, যা একটি বা একাধিক সামগ্রী বা ঔষধ বা প্রোটিন প্রস্তুত করে। 

পিল বিভিন্ন উদ্দীপক ও উদ্দীপনার সাথে আসতে পারে যা আপনার ডাক্তার বা ঔষধ প্রেস্ক্রিপশনের ভিত্তিতে নির্ধারিত হবে।

পিল কেন খাওয়া হয়

পিল খাওয়া হয় প্রাথমিকভাবে দুইটি উদ্দীপণের উদ্দেশ্যে:

1. চিকিৎসা ও উপশমক : পিল মূলত রোগ বা অসুস্থতার চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি অসুস্থতা বা অন্যান্য সমস্যার মাধ্যমে প্রভাব করতে পারে এবং রোগের লক্ষণ কমিয়ে তোলতে সাহায্য করতে পারে। 

2. প্রতিরোধ : কিছু পিল রোগ প্রতিরোধ করতে ব্যবহৃত হয়, যেমন পুনরাবৃত্তি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য নিয়ন্ত্রণকারী গর্ভনিরোধক পিল। 

এছাড়াও, কিছু পিল উপশমক হিসাবে ব্যবহৃত হয়, যেমন ব্যথা বা তাপন নিরোধক পিল। এগুলি অসুস্থতার লক্ষণ বা অবস্থার উপশমনে সাহায্য করতে পারে।

কয়েকটি পিলের নাম 

কিছু প্রধান পিলের নাম নিম্নলিখিত হতে পারে:

1. প্যারাসেটামল: এটি প্রধানত ব্যথা ও জ্বর উপশমক হিসাবে ব্যবহৃত হয়।

2. ইবুপ্রোফেন: এটি প্রধানত ব্যথা, জ্বর, ও প্রজাতির অসুস্থতা উপশমক হিসাবে ব্যবহৃত হয়।

3. লোরাটাডিন: এটি সর্দি, স্বাস্থ্যসম্মত হতে ব্যবহৃত হয় এবং অন্যান্য অসুস্থতার লক্ষণ উপশমনে ব্যবহৃত হয়।

4. অ্যাসিড: এটি অ্যাসিডিটি বা পেটের অসুস্থতা উপশমক হিসাবে ব্যবহৃত হয়।

5. সিটালোপ্রাম: এটি মানসিক সমস্যার জন্য প্রয়োজনীয় হতে পারে, যেমন ডিপ্রেশন বা অব্যক্তিতা।

এই পিলগুলির ব্যবহার আপনার ডাক্তারের পরামর্শের ভিত্তিতে হতে হবে। তারা নির্দেশ করবেন যে কোনও পিল আপনার বিশেষ অবস্থার জন্য উপযুক্ত বা প্রয়োজনীয় কি না।

ইমারজেন্সি পিল খাওয়ার অপকারিতা |  ইমারজেন্সি পিল খেলে কি কি সমস্যা হতে পারে 

ইমারজেন্সি পিলের ব্যবহার কিছু অপকারিতা সহজেই পরিলক্ষিত হতে পারে:

1. হরমোনাল অস্তিত্বের পরিবর্তন : ইমারজেন্সি পিলের ব্যবহার হরমোনাল স্তরের পরিবর্তন উত্পন্ন করতে পারে, যা আপনার মাসিক চক্রটির নিয়মিত ফেরৎ করতে পারে। এটি কিছু সময় পর বা স্থায়ীভাবে মাসিক চক্রটির নিয়মিত নিয়ন্ত্রণ বা অস্তিত্বের অভাবের সাথে সম্পর্কিত হতে পারে।

2. পেটের এবং মাথায় অসুস্থতা : কিছু মানুষ ইমারজেন্সি পিলের ব্যবহারের পরে মিঁড়ি এবং পেটে ব্যথা অভিজ্ঞ হতে পারে। তাদের মধ্যে কিছু মানুষ মাথায় চিমটা, মিগ্রেন এবং ব্রেন ফগট ব্যথা অনুভব করতে পারেন।

3. কার্ডিওভাসকুলার ঝুঁকি : কেমিক্যাল ফর্মুলেশন এবং এটি ব্যবহৃত মোতাবেক ইমারজেন্সি পিল কার্ডিওভাসকুলার ঝুঁকিতে কার্যকর হতে পারে, যেমন হৃদরোগের বাড়ানো সম্ভাবনা।

এই অপকারিতা সাধারণত অস্থায়ী হয় এবং প্রধানত সঠিক ডোজে এবং নির্দিষ্ট শর্ত সাথে সংশ্লিষ্ট। তবে, ইমারজেন্সি পিলের ব্যবহার পুনরায় এবং প্রায়শই অনিয়মিত হওয়া উচিত নয়। সবসময় সেই প্রস্তুতির সাথে পরিষেবণ করুন যা একজন চিকিত্সক বা স্বাস্থ্য যন্ত্রপাতি দেয়।

নোটবুক : আশাকরি আপনি আমাদের ওয়েবসাইটে এসে কাঙ্খিত তথ্য সংগ্রহ করতে পেরেছেন এবং উপকৃত হয়েছেন। 

এরকম আরো অসংখ্য হাদিস ও শিক্ষামূলক পোস্ট সহ আরো বিভিন্ন ধরনের পোস্ট পেতে আমাদের এই বাংলা ব্লক ওয়েবসাইট এর সাথেই থাকুন । 

প্রয়োজনীয় সকল তথ্য পেতে ভিজিট করুন জে কে ব্লগ বিডি ডট কম ওয়েবসাইটডে ও যোগাযোগ করুন জিমেইল ,টেলিগ্রাম, ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ ও জে কে ব্লক বিডি ডট কম ওয়েবসাইটে। 

আমাদের এই জে কে বাংলা ব্লগ বিডি ওয়েবসাইটটি ভিজিট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।