ছোলা কি | ছোলা কি জাতীয় খাবার | ছোলা খাওয়ার উপকারিতা - What is Chickpea - Cola Khawar Upkarita

 ছোলা কি | ছোলা কি জাতীয় খাবার 

ছোলা একটি ধান্যবাজি ফসল, যা সাধারণত খুব ছেলেমেজ হোল এবং সবুজ হোলের রূপে পরিচিত। এটি সাধারণত দেশের প্রায় সব অঞ্চলে উত্পাদিত হয়। ছোলা অনেক প্রকারের খাবারে ব্যবহার করা হয়, যেমন বাহুল্য অঞ্চলে প্রায় সবজির মতো খাওয়া হয়, এবং দারুচিনি, হলুদ, মরিচ ইত্যাদি মশলার সাথে রুটি বা চালের সাথে রান্না করা হয়। সেইমতো চালের সাথে সিদ্ধ করে পাতি বা পুলাও রান্না করা হয়। ছোলার ডাল অথবা সান্নাচা খাওয়া হয় অথবা পাপড়ে পরিবর্তন করে খাওয়া হয়। এছাড়া, ছোলা ভাজা, পাকোড়া, বাটি, দই ইত্যাদি একে অপরের প্রজাতিতে ব্যবহার করা হয়। ছোলা একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রোটিনের উৎস হিসেবেও পরিচিত।


ছোলা খাওয়ার উপকারিতা | ছোলার উপকারিতা

ছোলা অনেক উপকারিতা বা গুনাগুনি ব্যবহার পাওয়া যায়:

  1. পুষ্টিকর : ছোলা একটি পুষ্টিকর খাবার, যা মূলত প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন, খনিজ ইত্যাদি সরবরাহ করে। 
  2. ভারতীয় রান্নার জন্য অত্যন্ত উপযোগী : ছোলা ভারতীয় রান্নার বেশিরভাগ মেনুর একটি প্রধান উপাদান, এটি দালের মতো সিদ্ধ করে ও সবজির সাথে মিশে পরিবেশন করা হয়। 
  3. স্বাস্থ্যগত উপকারিতা : ছোলা স্বাস্থ্যকর প্রোটিনের উৎস, এটি প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় প্রোটিনের পরিমাণ প্রদান করে। এছাড়া, ছোলা ফাইবার ও ভিটামিনের উৎস হিসেবেও গুনগতিকর। 
  4. পুষ্টিকর স্নায়ুবিশেষ : ছোলা মেদ নিম্ন করে, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, ও ক্যান্সারের ঝুঁকিতে কমানোর জন্য গুণগতিকর। 

ছোলা অনেকগুলো রুচিকর ও স্বাস্থ্যকর রান্নার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এটি সাধারণত বিভিন্ন রুচিকর মশলার সাথে মিশে রান্না করা হয় এবং অনেক ধরনের খাবারে ব্যবহার করা হয়।

ছোলা

  • ছোলা একটি প্রধান প্রোটিন সুত্র এবং এটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ পোষণশীল খাবার। এটি ভিটামিন, খনিজ, আর ফাইবার সমৃদ্ধ। ছোলা মধ্যে কোলেস্টেরল ও অন্যান্য অমিল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে। তাছাড়া, ছোলা প্রতিরক্ষা প্রণালীকে শক্তিশালী করে এবং হৃদরোগ প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে। এটি মসলা করে খাওয়া যায় বা দানা, সব্জি, পুলাও, ডাল, সুপ, আচার ইত্যাদির রুপে ব্যবহার করা যায়।
  • বিশেষত, ছোলা খাওয়ার সময়ে আপনার মাসিক পুষ্টি প্রয়োজনীয় উপাদান প্রদান করতে পারে, যেমন প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন, খনিজ, আন্টিঅক্সিডেন্ট, ফোলেট, আমিনো অ্যাসিড, ওমেগা-৩ ফ্যাটি, অ্যালার্জি প্রতিরোধী বৈশিষ্ট্য ইত্যাদি। 

 ছোলার আরও কিছু তথ্য 

1. কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ : ছোলা খাওয়ার মাধ্যমে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রিত থাকে, যা হৃদরোগ ও ধাতু রোগের ঝুঁকিতে কমানোর জন্য গুণগতিকর। 

2. ওজন নিয়ন্ত্রণ : ছোলার উচ্চ ফাইবারের মাত্রা এবং ধারণকৃতি প্রোটিন সম্পৃক্ত খাবারের মধ্যে অন্যত্র ধর্মীয় মোটা ও প্রোটিনের পরিমাণ কমিয়ে এবং ধর্মীয় ব্যায়ামের সাথে মিলে ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে। 

3. স্বাস্থ্যগত স্নায়ুবিশেষ : ছোলা মেদ নিম্ন করতে সাহায্য করে, যা শোধনশীল ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, ও ক্যান্সারের ঝুঁকিতে কমানোর জন্য গুণগতিকর। 

4. সার্কোস্ট্রোল নিয়ন্ত্রণ : ছোলা একটি মূল্যবান উৎস হিসেবে দেখা হয়েছে যা সার্কোস্ট্রোলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে যা হৃদরোগের ঝুঁকিতে কমানোর জন্য গুণগতিকর। 

এগুলি মধ্যে কিছু একটি মাত্রা আপনার সার্বিক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য কাজ করতে পারে, তবে এই তথ্যগুলি চিকিৎসকের পরামর্শ অংশীদার করা উচিত।


ছোলা খাওয়ার নিয়ম 

ছোলা খাওয়ার নিয়ম অনেকটা সাধারণ খাবারের নিয়মের মতো। এক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। কিছু নিয়ম হলো:

  1.  ছোলা পর্যাপ্ত রুপে সেজে ধুয়ে নিন। 
  2.  ছোলা তেলে ভাজা থেকে বিরত থাকুন, স্টিম বা স্যালাড হিসেবে খান। 
  3.  প্রতিদিন ছোলা খাবেন না, প্রতি সপ্তাহে মাঝামাঝি খাবেন।  
  4. চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী যদি কোন বৈশিষ্ট্যযুক্ত পুষ্টিকর প্রোগ্রাম অনুসরণ করছেন তবে সেটির সাথে ছোলা যোগ করুন। 
  5. ছোলা খাওয়ার পরে পর্যাপ্ত পানি পান করতে ভুলবেন না। 

সবশেষে, আপনার শারীরিক অবস্থার সাথে মিলিয়ে কোনো পূর্বনির্ধারিত চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা উচিত।

কাচা ছোলা খাওয়ার নিয়ম 

কাচা ছোলা খাওয়ার নিয়ম বিভিন্ন  রকমে রয়েছে:

নিয়ম

1. পরিস্কার করুন :  কাচা ছোলা খাওয়ার আগে ভালোভাবে ধুয়ে পরিস্কার করুন।

2. ক্রিস্পি স্বাদ : কাচা ছোলা ক্রিস্পি স্বাদের হোক এবং সাবজীর মতো ফ্রেশ ও সজীব থাকুক।

3. মাসলা ও পরিমাণ : কাচা ছোলা মাছির সাথে, পুঁটির সাথে বা মিষ্টি চালের সাথে খাওয়া যেতে পারে। অধিক মাসলা বা তেলে ভাজা উচিত নয়।

4. পর্যাপ্ত পরিমাণে খাওয়া : কাচা ছোলা মাত্র খোসা কাটে খেতে নয়, পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবেন।

কাচা ছোলা খাওয়ার উপকারিতা 

উপকারীতা

1. পুষ্টিকর : কাচা ছোলা প্রোটিন, ভিটামিন, খনিজ এবং ফাইবারে অমিলভিত্তিক একটি ভালো উৎস।

2. পাচনশক্তি বৃদ্ধি : কাচা ছোলা পাচনশক্তিকে বৃদ্ধি দেয় এবং পেটের সমস্যাগুলি মিটায়।

3. কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ : কাচা ছোলা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং হৃদরোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।

4. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ : কাচা ছোলা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে।

সম্পূর্ণ ভিন্নতা অনুসরণ করে যেতে পারে এবং প্রোটিন এবং প্রতিদিনের অন্যান্য পুষ্টিকর খাবারের সঙ্গে সমন্বিত সংগতি রেখে কাচা ছোলা খাওয়ার উপকারিতা উপভোগ করা উচিত।

ছোলাতে কি পরিমান পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়  | কাচা ছোলায় কি পরিমাণ পুষ্টি উপাদান আছে 


ছোলা খুবই পুষ্টিকর একটি খাবার যাতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এটি প্রধানতঃ প্রোটিন, ভিটামিন, খনিজ, আর ফাইবার সমৃদ্ধ। 
ছোলাতে প্রতি 100 গ্রামের পরিমানে নিম্নলিখিত পুষ্টি পাওয়া যায়:

- প্রোটিন: প্রায় ২৪ গ্রাম
- কার্বোহাইড্রেট: প্রায় ৪১ গ্রাম
- ফাইবার: প্রায় ১৬ গ্রাম
- ক্যালসিয়াম: প্রায় ২৭০ মিলিগ্রাম
- আয়রন: প্রায় ৫ মিলিগ্রাম
- ম্যাগনেসিয়াম: প্রায় ৪৯ মিলিগ্রাম
- ফসফরাস: প্রায় ৩৯০ মিলিগ্রাম
- পোটাশিয়াম: প্রায় ১৭৩৭ মিলিগ্রাম
- ভিটামিন C: প্রায় ২৪ মিলিগ্রাম
- ভিটামিন B6: প্রায় ০.৬৯ মিলিগ্রাম

এই পুষ্টিগুলি ছোলা খাওয়ায় শরীরের প্রোটিন, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, পোটাশিয়াম এবং ভিটামিন সি এবং ভিটামিন B6 প্রদান করে। এই উপাদানগুলি শরীরের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাজে অবদান রেখে থাকে। তবে, এই পরিমাণ পুষ্টিগুলি পরিবর্তনশীল হতে পারে এবং বিভিন্ন পরিবেশে বিভিন্ন পরিমাণে থাকতে পারে। সেই কারণে এই পরিমাণগুলি সম্পূর্ণভাবে সাধারণ উপার্জন হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে না।ছোলা খুবই পুষ্টিকর একটি খাবার যাতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এটি প্রধানতঃ প্রোটিন, ভিটামিন, খনিজ, আর ফাইবার সমৃদ্ধ। 

ছোলা কিভাবে খেতে হয় | ছোলা খাওয়ার নিয়ম 

ছোলা খেতে সবার পছন্দের মতো সবারই স্বতন্ত্র। এর অনেক রুচিমুখী প্রকার রয়েছে। যেহেতু ছোলা প্রোটিনে অর্থপূর্ণ, অনেকে তার খাবারে মুখরোচক রুচির কারনে খাবারে রেখে ব্যবহার করেন। আমি আপনাকে কিছু পছন্দনীয় পদ্ধতি উল্লেখ করছি:

1. মসলা করে খেতে পারেন : ছোলা মসলা করে তৈরি করা সব ধরনের সাদা, মটর বা লাল ছোলা মসলা করে খেতে পারেন। মসলা করে করে খাওয়া যেতে পারে বা তা অন্য খাবারে যোগ করা যেতে পারে।

2. কড়াইয়ে ভাজা : ছোলা কড়াইতে ভাজা হয় অনেকের পছন্দে। চিপস, ফ্রাই, অথবা সুপার ক্রিস্পি খাবার হিসেবে তৈরি করে পাওয়া যায়।

3. সালাদে যোগ করা:কিছু মানুষ ছোলা সালাদে যোগ করে খাবারে প্রয়োগ করেন। ছোলা থাকলে সালাদের প্রোটিন এবং ফাইবার উত্তেজিত হয়ে থাকে।

4. ডাল বা চালে মিশিয়ে খাওয়া: ছোলা ডাল বা চালে মিশিয়ে বানিয়ে খেতে পারেন। এটি ভালো প্রোটিন সুপারিশ হয়ে থাকে যার সাথে মিশ্রিত খাবার খেতে পারেন।
5. অন্য খাবারে মিশিয়ে খেতে পারেন: ছোলা অনেক প্রকারের খাবারে মিশে যেতে পারে। কিমা, কিমা রোল, পুলাও, কোফতা বা মিষ্টি আচারের মতো অনেক ধরনের খাবার তৈরি করা যায়।

এই রকম অনেক ধরনের খাবারে ছোলা ব্যবহার করা যায়। আপনার পছন্দ এবং খাবারের অনুভূতি অনুযায়ী আপনি কোন পদ্ধতিতে ছোলা খেতে পছন্দ করেন, সেই উপায়ে খাওয়া যেতে পারে।

১০০ গ্রাম ছোলায় কি পরিমাণ পুষ্টি উপাদান আছে | ১০০ গ্রাম ছোলায় কি পরিমাণ পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায় 

ছোলাতে প্রতি 100 গ্রামের পরিমানে নিম্নলিখিত পুষ্টি পাওয়া যায়:

- প্রোটিন: প্রায় ২৪ গ্রাম
- কার্বোহাইড্রেট: প্রায় ৪১ গ্রাম
- ফাইবার: প্রায় ১৬ গ্রাম
- ক্যালসিয়াম: প্রায় ২৭০ মিলিগ্রাম
- আয়রন: প্রায় ৫ মিলিগ্রাম
- ম্যাগনেসিয়াম: প্রায় ৪৯ মিলিগ্রাম
- ফসফরাস: প্রায় ৩৯০ মিলিগ্রাম
- পোটাশিয়াম: প্রায় ১৭৩৭ মিলিগ্রাম
- ভিটামিন C: প্রায় ২৪ মিলিগ্রাম
- ভিটামিন B6: প্রায় ০.৬৯ মিলিগ্রাম

এই পুষ্টিগুলি ছোলা খাওয়ায় শরীরের প্রোটিন, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, পোটাশিয়াম এবং ভিটামিন সি এবং ভিটামিন B6 প্রদান করে। এই উপাদানগুলি শরীরের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাজে অবদান রেখে থাকে। তবে, এই পরিমাণ পুষ্টিগুলি পরিবর্তনশীল হতে পারে এবং বিভিন্ন পরিবেশে বিভিন্ন পরিমাণে থাকতে পারে। সেই কারণে এই পরিমাণগুলি সম্পূর্ণভাবে সাধারণ উপার্জন হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে না।

একজন মানুষের দৈনিক কি পরিমাণ ছোলা খাওয়া প্রয়োজন

  • একজন ব্যক্তির দৈনিক ছোলা খাবারের পরিমাণ তার শারীরিক অবস্থা, বয়স, লেবেল এবং কার্যক্রমের উপর নির্ভর করে। তবে, সাধারণত পরামর্শ হলো প্রতিদিন প্রায় ১৫০ গ্রাম থেকে ২০০ গ্রাম ছোলা খাওয়া। 
  • এই পরিমাণ সাধারণত প্রোটিন এবং অন্যান্য পুষ্টিকর উপাদান প্রদান করে এবং শরীরের প্রোটিন ও খনিজের প্রয়োজনীয়তা মেটাতে সাহায্য করে। 
  • তবে, এটি অবশ্যই শারীরিক অবস্থা, চিকিৎসা অবস্থা এবং শুধুমাত্র পরামর্শকারী চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসারে হতে হবে।

ছোলা ভিজিয়ে রেখে খাওয়া | ছোলা ভিজিয়ে  খাওয়ার উপকারিতা 

  • হ্যাঁ, ছোলা ভিজিয়ে রেখে খাওয়া যাবে। ছোলা সবজি হিসেবে খাওয়া যেতে পারে এবং সেটি সামান্যিক ভাবে কাজে লাগে। অনেক মানুষ ছোলা সব্জি হিসেবে ভিজিয়ে রেখে অন্য খাবার সাথে খাওয়ার অভ্যন্তরীণ পছন্দ করেন। 
  • ছোলা ভিজিয়ে রেখে খাওয়ার মাধ্যমে এর স্বাদ অনেক বেশি সংগ্রহমূলক হয় এবং খাবারের বিভিন্ন পরিমাণ স্বাধীনভাবে অনুভব করা যায়। 
  • তবে, সম্পূর্ণ ভিন্ন স্বাদ অনুভব করার জন্য নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ছোলা ভিজিয়ে রাখা হতে পারে, যেখানে সেটি মাখা ও স্বাদে ভরে যায়। এটি হাইড্রেটেড রাখা থাকলে তা আরো ভাল অবস্থায় থাকে এবং স্বাদও অনেক উন্নত হয়। 
  • তবে, এটি সাবধানতা অবলম্বন করা দরকার যেন তা দুষ্টু হয় না এবং এটি ঠান্ডা জায়গায় বা রান্না করার পর অধিকতর খাওয়া হয় যেন সেটি প্রকৃত ও সুরক্ষিত অবস্থায় থাকে।

খালি পেটে ছোলা খাওয়ার উপকারিতা 

খালি পেটে ছোলা খাওয়ার উপকারিতা অনেক আছে। এই উপকারিতাগুলি নিম্নলিখিত রকমের হতে পারে:

1. পুষ্টি প্রদান : ছোলা খালি পেটে খেলে এটি অধিক প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন, খনিজ এবং অন্যান্য পুষ্টিকর উপাদান প্রদান করে।
2. পেটে সংক্রামণ প্রতিরোধ : খালি পেটে ছোলা খেলে এটি পেটের সংক্রামণ প্রতিরোধে সাহায্য করে এবং পেটের স্বাস্থ্যকে সঠিক উপাদান প্রদান করে।
3. পেটে সাবধান্তা প্রদান : ছোলা খালি পেটে খেলে এটি পেটে সাবধান্তা প্রদান করে এবং পেটের পরিস্থিতি স্বাস্থ্যগতভাবে উন্নত করে।
4. ওজন নিয়ন্ত্রণ : খালি পেটে ছোলা খেলে এটি ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে এবং দৈনন্দিন খাবারে সংলগ্ন হলে ওজন বাড়তে সাহায্য করতে পারে।
5. সমগ্র পেটের স্বাস্থ্য : ছোলা খালি পেটে খেলে পেটের স্বাস্থ্য মোচন করে এবং পেটের প্রতিষ্ঠার স্বাস্থ্যকে বৃদ্ধি দেয়।

তবে, খালি পেটে ছোলা খাওয়া সময়ে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। অতিরিক্ত খাবার খাওয়া যেতে পারে এবং পেটের সমস্যাগুলি সৃষ্টি হতে পারে। তাই স্বাস্থ্যকর পরামর্শের মাধ্যমে খালি পেটে ছোলা খাওয়ার উপকারিতা প্রয়োগ করা উচিত।

ছোলা খাওয়ার উপকারিতা 

ছোলা খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে, যা নিম্নলিখিত রকমে হতে পারে:

1. প্রোটিন সৃষ্টি: ছোলা একটি অত্যন্ত ভালো উৎস হিসেবে প্রোটিনের, যা মাংস, ডাল এবং অন্যান্য খাবারের উৎস হিসেবে সাহায্য করে।
2. স্বাস্থ্যকর পেটের প্রণালী : ছোলা উচ্চ ফাইবারের উৎস, যা পেটের প্রণালীকে সুস্থ রাখে এবং পেটের সমস্যাগুলি প্রতিরোধ করে।
3. অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণ : ছোলা প্রোটিনের প্রাচুর্য এবং ফাইবারের উৎস হিসেবে একটি ধরনের পেট ভরা অনুভুতি সৃষ্টি করে, যা অতিরিক্ত খাবারের উপভোগ কমাতে সাহায্য করে।
4. হৃদরোগ প্রতিরোধ : ছোলা অনেক ভিটামিন এবং খনিজের উৎস, যা হৃদরোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
5. প্রতিষ্ঠিত পেট প্রণালী : ছোলা একটি ভালো ফাইবার উৎস, যা পেটের প্রণালীকে প্রতিষ্ঠিত রেখে এবং পেট সমস্যাগুলি প্রতিরোধ করে।
6. শরীরে নির্মাণশীল প্রতিষ্ঠা : ছোলা প্রোটিন এবং অন্যান্য পুষ্টিকর উপাদান সরবরাহ করে, যা শরীরের নির্মাণশীল প্রতিষ্ঠা ও প্রতিস্থাপন করে।

এই উপকারিতাগুলি ছোলা খাওয়ার সাধারণ ফলাফল। তবে, এটি অন্যান্য খাবার সঙ্গে সমন্বিত উপভোগ করা উচিত, এবং শারীরিক অবস্থা, চিকিৎসা।

ছোলা খাওয়ার অপকারিতা 

ছোলা খাওয়া সাধারণত স্বাস্থ্যকর এবং উপকারী হলেও অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া অথবা কিছু নির্দিষ্ট অবস্থায় খাওয়া অপকারিতা সৃষ্টি করতে পারে। কিছু সাধারণ অপকারিতা নিম্নলিখিত হতে পারে:

1. গ্যাস ও পেট সমস্যা : ছোলা ফাইবারের উচ্চ একটি উৎস হিসেবে পরিচিত, যা কিছু মানুষের পেটে গ্যাস বা পেট সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
2. অ্যালার্জি : কিছু মানুষের ছোলা খাওয়া বা তার সাথে যোগাযোগের সময় অ্যালার্জি সৃষ্টি হতে পারে।
3. ফসফেটের উচ্চ পরিমাণ : ছোলা ফসফেটের উচ্চ একটি উৎস হিসেবে পরিচিত, যা অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া হলে অস্বাস্থ্যকর হতে পারে।
4. অধিক ক্যালোরি : তৈরি পদার্থ যেমন ছোলা পানি বা তেলে ভাজা হলে অধিক ক্যালোরি পাওয়া যায়, যা অতিরিক্ত ক্যালোরির সৃষ্টি করে এবং ওজন বাড়াতে সাহায্য করে।
5. ক্যাডমিয়াম সংক্রান্ত ঝুঁকি : কিছু ছোলা ধাতু ক্যাডমিয়াম এর মাত্রা বেশি থাকতে পারে, যা অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া অসুখে আক্রান্ত হতে পারে।
6. কলেস্ট্রোল এর উচ্চ পরিমাণ : কিছু ছোলা কলেস্ট্রোলের উচ্চ একটি উৎস হিসেবে পরিচিত, যা অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া হলে হৃদরোগ সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

এই অপকারিতাগুলি সাধারণত মাত্রা উল্লেখ করে একজন স্বাস্থ্যবিধবান ব্যক্তিকে সামান্য ছোলা খাওয়া উপস্থিতির মাধ্যমে হ্রাস করা যায়। তবে, এই পরিস্থিতি প্রাণিসম্পত্তি বা চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের পরামর্শ অনুসারে নির্ধারিত করা উচিত।

 বয়স বেধে ছোলা খাওয়ার নিয়ম 

বয়স বেড়ে যাওয়া সময়ে স্বাস্থ্যবিধিতে খাবারের সম্পর্কে কিছু পরিবর্তনের প্রয়োজন হতে পারে। ছোলা একটি প্রোটিন ও পুষ্টিকর উৎস হিসেবে পরিচিত, তবে বয়স বেড়ে যাওয়া সময়ে কিছু বিশেষ পরিস্থিতির মধ্যে তা খাওয়ার নিয়মে পরিবর্তন আনতে হতে পারে। কিছু বয়সের বিবেকসহকারে ছোলা খাওয়ার নিয়মে নিম্নলিখিত পরামর্শ অনুসরণ করা যেতে পারে:

1. প্রোটিন প্রয়োগ : বয়স বেড়ে যাওয়া সময়ে প্রোটিনের প্রয়োজন বাড়ে। ছোলা প্রোটিনের অত্যন্ত ভালো উৎস, তাই নিয়মিত করে ছোলা খাওয়া প্রয়োজনীয় প্রোটিন সরবরাহ করতে সাহায্য করতে পারে।

2. ফাইবারের ব্যবহার : বয়স বাড়লে পেটের প্রক্রিয়াগুলি প্রকৃতভাবে ধীর হয়ে যায়। ফাইবারের উচ্চ উপস্থিতি পেটের প্রণালীকে সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে এবং পেট সমস্যাগুলি প্রতিরোধ করে। ছোলা ফাইবারের অত্যন্ত ভালো উৎস, তাই নিয়মিতভাবে খাওয়া উত্তেজনা করা যেতে পারে।

3. পুষ্টির প্রয়োগ : বয়স বেড়ে যাওয়া সময়ে পুষ্টির প্রয়োগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ছোলা ভিটামিন, খনিজ, ও অন্যান্য পুষ্টিকর উপাদানের উৎস, তাই নিয়মিত খাওয়া শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি প্রদান করে।

4. সতর্কতা অনুশীলন : যদি কেউ কোনো ধরনের অ্যালার্জি বা পেট সমস্যা অথবা কোনো নির্দিষ্ট অসুখে আক্রান্ত হন, তবে অতিরিক্ত সতর্কতা অনুশীলনে ছোলা খাওয়া উচিত। আগে নিজের চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা উচিত।

২০০ ছোলা কি পরিমাণ পুষ্টি উপাদান আছে |
২০০ গ্রাম ছোলায় কি পরিমাণ পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায় 

ছোলা একটি প্রোটিন ও পুষ্টিকর খাবার হিসেবে পরিচিত। এটি প্রতি সেবার মধ্যে প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন, খনিজ, আন্টিঅক্সিডেন্ট, ফোলেট, আমিনো অ্যাসিড, ওমেগা-৩ ফ্যাটি, অ্যালার্জি প্রতিরোধী বৈশিষ্ট্য এবং অন্যান্য পুষ্টিকর উপাদান প্রদান করে। 

এক কাপ (২০০ গ্রাম) ছোলা দানা প্রায়ই নিম্নলিখিত পুষ্টি উপাদান সরবরাহ করে:

- প্রোটিন: প্রায় ১৭ গ্রাম
- ফাইবার: প্রায় ৬ গ্রাম
- আয়রন: প্রায় ৩ মিলিগ্রাম
- ক্যালসিয়াম: প্রায় ২৭ মিলিগ্রাম
- ম্যাগনেসিয়াম: প্রায় ৪৫ মিলিগ্রাম
- ফসফরাস: প্রায় ৩১৫ মিলিগ্রাম
- পটাসিয়াম: প্রায় ৫৫০ মিলিগ্রাম
- আলফা তোকোফেরোল (ভিটামিন ই): প্রায় ৪ মিলিগ্রাম
- বি ভিটামিন: প্রায় ১৫ মিলিগ্রাম
- ফোলেট: প্রায় ২৯০ মিক্রোগ্রাম

এই পরিমাণ পুষ্টি উপাদানের প্রসব প্রতি দিনের প্রয়োজনীয়তার একটি মাত্রা প্রদান করে। তবে, পুষ্টিকর উপাদানের পরিমাণ স্বাভাবিকভাবে ভিন্ন ভিন্ন ছোলা ধরণের মধ্যে পরিবর্তিত হতে পারে। অত্যন্ত ভালোমানের ছোলা নির্বাচন করা হলে সঠিক পুষ্টিকর উপাদান প্রদানে সাহায্য করতে পারে। প্রতিটি খাবারের সঙ্গে বিভিন্ন পুষ্টিকর খাবার সম্পৃক্ত করা উচিত।

৫০০ গ্রাম ছোলায় কি পরিমাণ পুষ্টি আছে |৫০০ গ্রাম ছোলায় কি পরিমাণ পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায় 

৫০০ গ্রাম ছোলায় পুষ্টি উপাদানের পরিমাণ অনেকটা বেশি হবে কারণ ছোলা একটি পুষ্টিকর ও অনুভুতির সমৃদ্ধ খাবার। এই পরিমাণ ছোলা খাওয়া সময়ে বিভিন্ন পুষ্টিকর উপাদান প্রদান করে, যেমন প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন, খনিজ, আন্টিঅক্সিডেন্ট, ফোলেট, আমিনো অ্যাসিড, ওমেগা-৩ ফ্যাটি, অ্যালার্জি প্রতিরোধী বৈশিষ্ট্য ইত্যাদি। 

একটি প্রায়শই পুষ্টিকর পরিমাণের সারমর্ম নিম্নে উল্লেখ করা হল:
- প্রোটিন: প্রায় ৫৮ গ্রাম
- ফাইবার: প্রায় ২১ গ্রাম
- আয়রন: প্রায় ১১ মিলিগ্রাম
- ক্যালসিয়াম: প্রায় ১১৮ মিলিগ্রাম
- ম্যাগনেসিয়াম: প্রায় ১৯০ মিলিগ্রাম
- ফসফোরাস: প্রায় ১৫৭৫ মিলিগ্রাম
- পটাসিয়াম: প্রায় ২৭৫০ মিলিগ্রাম
- আলফা টোকফেরল (ভিটামিন ই): প্রায় ২২ মিলিগ্রাম
- বি ভিটামিন: প্রায় ৭০ মিলিগ্রাম
- ফোলেট: প্রায় ৪ মিক্রোগ্রাম

এই পরিমাণে ছোলা খাওয়া সাধারণত প্রাচুর্যে পুষ্টিকর উপাদানের মাত্রা প্রদান করে। তবে, এই মাত্রা উল্লেখ করা হল প্রায়শই পাওয়া পুষ্টিকর উপাদানের একটি সাধারণ পরিমাণ যেটি অন্যান্য আহারের সঙ্গে সমন্বিত হতে পারে। এই মাত্রা পুষ্টিকর উপাদানের প্রসব নির্দিষ্ট কোনও কোনও ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয়তার মাত্রা এবং অন্যান্য পরিস্থিতিতে ভিন্ন হতে পারে। প্রতিটি ব্যক্তির পুষ্টিকর প্রতিষ্ঠান এবং চিকিৎসা পেতে বিভিন্ন পুষ্টিকর খাবার সম্পৃক্ত করা। 

 কাচা ছোলা ও সিদ্ধ ছোলা 

কাচা ছোলা এবং সিদ্ধ ছোলা উভয়ই উপকারী হতে পারে, তবে তাদের স্বাস্থ্যগত সুবিধার সাথে সম্পর্কে কিছু পার্থক্য থাকতে পারে। 

কাচা ছোলার উপকার

কাচা ছোলা: কাচা ছোলা খেতে স্বাদু এবং ক্রিস্পি হয়ে থাকে। এটি ফাইবারের ভালো উৎস হিসেবে পরিচিত, যা পেটের প্রণালীকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে এবং পাচনে সাহায্য করে। কাচা ছোলা একটি শক্তিশালী এন্টিঅক্সিডেন্ট ও বিটামিন সি এর উৎস হিসেবেও পরিচিত, যা শরীরের রোগের ঝুঁকিতে দ্বারা সাহায্য করতে পারে। কাচা ছোলা আমিনো অ্যাসিড, প্রোটিন, ফোলেট, আর ক্যালসিয়াম সহ অনেক গুনে সমৃদ্ধ। 

সিদ্ধ ছোলার উপকার

সিদ্ধ ছোলা : সিদ্ধ ছোলা খেতে মসলা ও স্বাদে রসালো হয়ে থাকে। এটি প্রোটিন, ফাইবার, ফোলেট, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, ও ক্যালসিয়াম ইত্যাদি উপাদানে ধনাত্মক পরিমাণে প্রদান করে। সিদ্ধ ছোলা প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এবং ফাইবার প্রদান করে এবং পেটে বার্তা চলা পরিমাণে পরিশ্রমকর হওয়ায় বোধ্য হতে পারে। 
সাধারণত, কাচা ছোলা সবচেয়ে ভালো উপকারিতা সম্পন্ন, কারণ তার উচ্চ ফাইবার ও ভিটামিন সি সাহায্যে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়তে সাহায্য করে। তবে, এটি অধিক পরিমাণে খাওয়া যেতে পারে কিন্তু সিদ্ধ ছোলার সাথে তুলনামূলকভাবে কম উপকারিতা সম্পন্ন।

১০০ গ্রাম ছোলায় প্রাটিন কত গ্রাম | ১০০ গ্রাম ছোলায় প্রাটিন কত

১০০ গ্রাম ছোলায় প্রাটিনের প্রায় ২১ গ্রাম থাকে। এই পরিমাণ ছোলা একটি ভালো প্রোটিনের উৎস হিসেবে পরিচিত। প্রোটিন মাংস, ডাল, ছোলা, মুগডাল ইত্যাদি প্রাণীর ও অপ্রাণীর খাবারে পাওয়া যায়। এটি শরীরের মাংসপেশী গঠনে এবং শক্তি প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়া, প্রোটিন শরীরের পুনর্নবীকরণ প্রক্রিয়াতে সাহায্য করে এবং শরীরের পুরানো ও অস্থায়ী প্রোটিন ধ্বংস করে। সেইজন্য প্রোটিন শরীরের পুনঃস্থাপন প্রক্রিয়া অথবা মাংসপেশী নির্মাণে প্রযোজ্য। যেহেতু প্রোটিন শরীরের অন্যান্য পুরানো প্রোটিন ধ্বংস করে, তাই প্রোটিন খাবারে সম্মানিত প্রোটিন ধারণ করাই গুরুত্বপূর্ণ।

১০০ গ্রাম ছোলা কত ক্যালোরি |১০০ গ্রাম ছোলায় কত ক্যালোরি

১০০ গ্রাম ছোলা প্রায় ১১৯ ক্যালোরি থাকে। তবে, এই মাত্রা বিভিন্ন উৎস ও উপকারিতার উপরে ভিত্তি করে পরিবর্তন করতে পারে। যেমন, কিসের ছোলা বা ভাজা ছোলার ক্যালোরি মাত্রা বাড়তে পারে। তবে, এই মাত্রা সাধারণত মানের ক্যালোরি মাত্রা হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এছাড়া, সহজে ক্যালোরি গণনা করার জন্য অনলাইন ক্যালোরি ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যেতে পারে।


ছোলা ডাল - ছোলা ডাল কি


ছোলা ডাল হল ছোলা দানাগুলি থেকে তৈরি একটি ডাল যা বিভিন্ন রকম রান্নার জন্য ব্যবহার করা হয়। ছোলা ডালের মুখ্য রূপান্তর দুটি হল:

1. কাচা ছোলা ডাল : কাচা ছোলা ডালে ছোলা দানা স্বাভাবিক রূপে ভাঙতে হয় এবং তারপর সিদ্ধ করে নেয়া হয়। এই ডাল বিভিন্ন ধরনের সবজির সাথে মিশিয়ে রান্না করা হয় এবং প্রায় পুলাও, সবজির তরকারি ইত্যাদি রুচিকর পরিবেশনে ব্যবহৃত হয়। 

2. ভাজা ছোলা ডাল : ভাজা ছোলা ডালে ছোলা দানা ভাজা হয় এবং সাধারণত মসলা মিশিয়ে পরিবেশন করা হয়। এটি একটি পপুলার বাংলা ডিশ যা ধানের সাথে পরিবেশন করা হয় এবং রাজমা বা লুচির সাথে পরিবেশন করা হয়। 

ছোলা ডাল প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন, খনিজ ইত্যাদি অনেক গুণগতিকর উপাদান সরবরাহ করে এবং মধ্যপ্রাচীন সময় থেকে বাংলাদেশী রান্নায় প্রিয়তম একটি ডাল।

প্রতিদিন ছোলা খেলে কি হয়

প্রতিদিন ছোলা খাওয়া একটি ভালো পরিষেবা সম্পর্কে অনেক উপকারী ফলাফল থাকতে পারে:
1. প্রোটিন সরবরাহ : ছোলা প্রোটিনের একটি ভালো উৎস। প্রতিদিন ছোলা খেলে প্রোটিনের প্রয়োজনীয় পরিমাণ প্রদান হয়। 
2. ফাইবার সরবরাহ : ছোলা ফাইবারের ভালো উৎস এবং প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় ফাইবারের পরিমাণ পূরণ করে। 
3. ভিটামিন এবং খনিজ সরবরাহ: ছোলা ভিটামিন এবং খনিজের সরবরাহে ভালো উৎস, যা প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় পরিমাণ প্রদান করে। 
4. ওজন নিয়ন্ত্রণ : ছোলা খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য হয়, কারণ এটি বোধ্য ও পুরাতন ধরনের খাবার। 

5. হৃদরোগ এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ: ছোলা খাওয়ার পরিমাণের বৃদ্ধি হৃদরোগ এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকিতে কমানোর জন্য সাহায্য করে। 

তবে, মনে রাখবেন যে, বিভিন্ন ধরনের খাবারের সমন্বয় করে সঠিক পুষ্টিতত্ত্ব অনুসারে খাওয়া উচিত। আপনার খাবারের প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন এবং খনিজের পরিমাণ ঠিকমতো হতে হবে যাতে আপনি সুস্থ থাকেন। তাই একই ধরনের খাবার না খেলে প্রতিদিন ছোলা খেতে কার্যকর নয়।

খালি পেটে ছোলা খাওয়া| খালি পেটে ছোলা খাওয়ার উপকারিতা 

খালি পেটে ছোলা খাওয়া উপকারিতা অথবা বিপক্ষে কোনো নির্দিষ্ট সাইন্সিফিক আধার নেই। তবে, খালি পেটে কোনো খাবার খেতে একেবারে ভারী বা অধিক পরিমাণে খাবার খেলে পেটের অতিসম্ভ্রান্তি বা অনিচ্ছাকৃত সমস্যা উত্পন্ন হতে পারে। সাধারণত, সকালে খালি পেটে পানি বা পানির সমান কিছু খাবার গ্রহণ করা উচিত যেন পেটের সমান্তরাল পার্টগুলি আস্থা অনুভব না করে। তবে, যদি প্রয়োজন হয় ছোলা খেতে, তাহলে মাত্র সামান্য পরিমাণে খাওয়া উচিত যাতে সেটি সহ্যকর হয়। এছাড়া, খাবার খাওয়ার পরে প্রয়োজনীয় পরিমাণে পানি পান করা উচিত যাতে খাবার ভালোভাবে পেটে চলে যায়।

ছোলা চাষ পদ্ধতি 

ছোলা চাষের পদ্ধতি অনেকটা নিম্নলিখিত ধাপে অনুসরণ করা হয়:

1. জমি প্রস্তুত করুন : ছোলা চাষের জন্য মাটি সঠিক গুনগতিসম্পন্ন এবং ড্রেনেজ সুবিধাসম্পন্ন হতে হবে। অতিরিক্ত জলাশয়ন থাকতে না হলে ছোলা পুরাতন জমিতে চাষ করা উচিত নয়। 

2. বীজ বাছাই: ভালো মানের ছোলা বীজ নির্বাচন করুন। ছোলা বীজগুলি পোকা, কীট, রোগ মুক্ত এবং উন্নত উৎপাদনশীল হতে হবে। 

3. নির্দষ্ট সময়ে চাষ করুন : ছোলা চাষের জন্য সবচেয়ে ভালো সময় হল বৈশাখ থেকে জ্যৈষ্ঠ মাস। 

4. বিছানো বা বীজ বোনানো : বীজ বোনানোর জন্য ছোলা বীজগুলি সাধারণত প্রথমে জমিতে বিছানো হয়। বীজ বোনানোর পরে জমিতে বীজ বোনানো গাছ মোড়ানো হয়। 

5. পোকা দমন : ছোলা গাছের ওপর পোকা, কীট ইত্যাদি সন্দেহজনক দেখা গেলে তা সকল রোগ ব্যবস্থাপনা করা উচিত। 
6. জলাশয্য প্রদান করুন : ছোলা গাছের জন্য যথাযথ জলাশয্য প্রদান করা উচিত। 

7. পরিচর্যা করুন : ছোলা গাছে প্রতিমুহূর্তের পরিচর্যা করা উচিত যাতে পোকা, কীট ও রোগের হানি কমে। 

8. পরিপ্রেক্ষিত করুন : গাছের অবস্থা সম্পর্কে নিয়মিতভাবে পরিপ্রেক্ষিত করুন এবং যেকোনো সমস্যা পরিষ্কার করার জন্য শীঘ্রই পদক্ষেপ নিন। 

এই ধাপগুলি অনুসরণ করে ছোলা চাষ করা হয় যাতে আপনি উন্নত ও উচ্চ মানের ছোলা উৎপাদন করতে পারেন।

কাবুলি ছোলা 

  • কাবুলি ছোলা, অথবা কাবুলি চিকন পিজা গরম ও রুচিকর একটি বিশ্বস্ত খাবারের উপাদান হিসেবে পরিচিত। এটি ধানের সাথে মিশে তৈরি হওয়া একটি ধানের উপজাতীয় এবং অত্যন্ত স্বাদু ছোলার প্রকার। কাবুলি ছোলা বিশেষভাবে আফগানিস্তানের খাবারে ব্যবহৃত হয় এবং এটি বিভিন্ন দেশের রান্নার একটি পুলিশ। 
  • কাবুলি ছোলা সাধারণত লম্বা, গোলাকার এবং সফেদ রঙের হয়, এবং এর মধ্যে ভালো মানের প্রোটিন, ফাইবার, খনিজ, এবং ভিটামিন পাওয়া যায়। এটি সাধারণত বিভিন্ন রান্না এবং ডিশে ব্যবহৃত হয়, যেমন সালাদ, কারি, সুপ, এবং পুলাও। এটি সাধারণত বাস্তবায়নে প্রথমে ভিজিয়ে পরিষ্কার করা হয় এবং তারপরে রান্না করা হয়।

ছোলা গাছের উপকারিতা

ছোলা গাছ একটি গুল্মবিশিষ্ট সস্তা ও প্রতিফলনশীল ফসল যা বিভিন্ন উপকারিতা সরবরাহ করে। কিছু উপকারিতা নিম্নরূপ:

1. প্রোটিন সরবরাহ : ছোলা গাছ প্রোটিনের একটি প্রাকৃতিক উৎস। এটি খাদ্য পণ্যে একটি গুণমুখী এবং স্বাস্থ্যকর প্রোটিনের সরবরাহ করে। 

2. পোষণ সরবরাহ : ছোলা গাছ ভিটামিন, খনিজ এবং ফাইবারের একটি উচ্চ উৎপাদক। এটি পুষ্টিশীল ভোজনের একটি অপ্রাণী উৎপাদক হিসেবে কাজ করে। 
3. মাটি পরিবেশন ও গুণগত সংবর্ধন : ছোলা গাছ মাটিতে প্রস্তুত পোষকতার পরিমাণ বাড়ায় এবং মাটির গুণগত পরিষ্কারতা বৃদ্ধি করে। 

4. মাটির স্থায়িত্ব বাড়ানো : ছোলা গাছ মাটিতে মোড়ানোর সাথে সাথে মাটির স্থায়িত্ব বাড়াতে সাহায্য করে। 
5. সাম্প্রতিকতার সাথে সাথে মোড়ানো : ছোলা গাছ বেশি সময় নিয়মিত ও প্রাণীর কারণে ব্যবহৃত হতে পারে এবং সাম্প্রতিকতা সাথে সাথে মোড়ানো যায়। 

6. সংস্থা পরিচালনা : ছোলা গাছ একটি সংস্থা পরিচালনা ফসল হিসেবে কাজ করে এবং সংস্থা প্রদানে মাটির ধারালি এবং অগভ্যবহারযোগ্য প্রতিফলন বৃদ্ধি করে। 

এই উপকারিতা সমূহ কার্যকরীভাবে ব্যবহার করা হলে ছোলা গাছের চাষ থেকে উত্তাপণ্ণ লাভ হয়।

ছোলার ইংরেজি কি | ছোলা In English - ছোলা এর ইংরেজি কি

"ছোলা" এর ইংরেজি অনুবাদ হলো"chickpea"।

ছোলা গাছের বৈশিষ্ট্য 


ছোলা গাছের কিছু মৌলিক বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপ:

1. বৈশিষ্ট্যমূলক বাগানিকে সাপেক্ষ করা যায় : ছোলা গাছ ছত্রাক, কীট, পোকা এবং সারের বিপণনে সাপেক্ষ এবং অল্প জমি চাইতে পারে। 

2. উন্নত উৎপাদনশীলতা : ছোলা গাছ একটি উন্নত উৎপাদনশীল ফসল যা অনেক পরিবর্তনশীল এবং অনেক জাতের উৎপাদন করা যায়। 

3. সহনশীলতা : ছোলা গাছ বেশি সামর্থ্যশীল স্থান বা পরিস্থিতির সাথে ব্যবহারের জন্য উপযোগী। 

4. উন্নত জীববৈচিত্র্য : ছোলা গাছ জীববৈচিত্র্যের উন্নত উৎপাদনশীল হওয়া জন্য পোকা এবং কীটতত্ত্ব অনুসন্ধানে ব্যবহার করা হয়। 

5. মাটির স্থায়িত্ব বাড়ানো : ছোলা গাছ মাটিতে স্থায়িত্ব বাড়ানোর জন্য উপযোগী হয়। 

6. আদর্শ অবস্থা : ছোলা গাছ একটি স্বাভাবিক, আদর্শ ও বিভিন্ন জমির জীবন্ত অংশ। 

7. পোষক সম্পদের সরবরাহ : ছোলা গাছ মাটিতে স্থায়িত্ব বাড়ানোর সাথে সাথে পোষণ সম্পদের সরবরাহ করে। 

এই বৈশিষ্ট্যগুলি মিলিয়ে ছোলা গাছ একটি ব্যবহারিক ও উন্নত ফসল হিসেবে পরিচিত।

নোটবুক : আশাকরি আপনি আমাদের ওয়েবসাইটে এসে কাঙ্খিত তথ্য সংগ্রহ করতে পেরেছেন এবং উপকৃত হয়েছেন। 
এরকম আরো অসংখ্য হাদিস ও শিক্ষামূলক পোস্ট সহ আরো বিভিন্ন ধরনের পোস্ট পেতে আমাদের এই বাংলা ব্লক ওয়েবসাইট এর সাথেই থাকুন । 
প্রয়োজনীয় সকল তথ্য পেতে ভিজিট করুন জে কে ব্লগ বিডি ডট কম ওয়েবসাইটডে ও যোগাযোগ করুন জিমেইল ,টেলিগ্রাম, ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ ও জে কে ব্লক বিডি ডট কম ওয়েবসাইটে। 
আমাদের এই জে কে বাংলা ব্লগ বিডি ওয়েবসাইটটি ভিজিট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। 




এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url
ajkerit